হরিণাকুণ্ডুতে শর্মী’র রহস্যজনক আত্মহত্যা

প্রকাশিতঃ ফেব্রুয়ারী ২৭, ২০২৩ | ৩:৪৬ অপরাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ফলসী ইউনিয়নের নুরজাহান শর্মী (১৮) নামে এক গৃহবধু পারিবারিক কলোহের জের ধরে সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) রাত সাড়ে ১২ টার দিকে আত্মহত্যা করেছে। নিহত নুরজাহান(শর্মী) উপজেলার পার ফলসী গ্রামের নজরুল ইসলামের পুত্র আল আমিনের স্ত্রী। মুসলিম সাহরিয়ার মোতাবেক আনুমানিক ২০১৭ সালে তাদের বিবাহ হয়। নুরজাহান শর্মী (১৮) নামের ওই নারী এক সন্তানের মা ছিলেন। ঘটনার সময় তাঁর স্বামী আল আমিন একই ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন। আলামিন বলেন, তাঁদের বাড়ি উপজেলার পারফলসী গ্রামে। তিনি কৃষিকাজ করেন। স্ত্রী,সন্তান ও বাবা মাসহ একই বাড়িতে থাকেন তিনি। রাতে স্বামী সন্তানসহ ঘুমাতে যান নুরজাহান। হঠাৎ রাত আনুমানিক সাড়ে ১২ টার দিকে মেয়ের কান্নার শব্দ শুনে ঘুম ভেঙ্গে গেলে স্ত্রীকে ঘরের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন । পরে পরিবারের লোকজনের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে বাঁচানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেন। আলামিনের দাবি, তাঁদের মধ্যে কোনো ঝামেলা ছিল না। কী কারণে তাঁর স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন, বুঝতে পারছেন না তিনি। এ ঘটনায় নুরজাহানের মা বলেন,বিয়ের পর থেকেই আমার মেয়ের উপরে শারিরিক নির্যাতন করতো আমার জামাই আল আমিন ও তার মা।বিভিন্ন সময়ে তারা যৌতুকের টাকা দাবি করতো।আমরা এটা নিয়ে বেশ কয়েকবার পারিবারিক ভাবে বসা বসিও করেছি।আমার মেয়েকে ওরা মেরে ফেলেছে। আমি এর বিচার চাই। ফলসী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য কলম আলী ঐ গৃহবধুর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান মেয়েটি অত্যান্ত ভালো মানুষ ছিলেন। এবিষয় হরিণাকুণ্ডু পৌরসভার সাবেক মেয়র শাহিনুর রহমান রিন্টু বলেন, আমার বাড়ির পাশেই মেয়ের বাবার বাড়ি হওয়াতে তাকে আমি ছোটবেলা থেকেই চিনি।অনেক শান্ত স্বভাবের মেয়ে ছিল। সে শ্বশুর বাড়িতে নির্যাতিত হতো বলেও আমি জানি। বিষয়টি সুষ্ঠ তদন্তের দাবি জানান তিনি। হরিণাকুণ্ডু থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা, সেটি নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটনে পুলিশের তদন্ত চলছে। যেহেতু একই কক্ষের ভেতরে ঘটনা ঘটেছে, তাই সন্দেহ থেকে যাচ্ছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করেনি পুলিশ। তিনি আরও বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।