আপত্তিকর আচরণের শাস্তি পেলেন আকবর আলী। জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) পরের দুই ম্যাচ খেলতে পারবেন না ২০২০ যুব বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ক। শৃঙ্খলাজনিত কারণে লেভেল-২ ভঙ্গ করায় এনসিএলে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছেন তিনি। জানা গেছে, সবশেষ রাউন্ডে রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে বরিশালের বিপক্ষে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করায় এই শাস্তি পেয়েছেন আকবর আলী। ফিল্ডিং করার সময় আম্পায়ারের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয় তার। পরে ব্যাটিংয়ের সময় আম্পায়ার তাকে আউট দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে ব্যাট ছুড়ে মারার পাশাপাশি চেয়ারও ভেঙেছেন আকবর আলী! এই ম্যাচে ফিল্ড আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন মাহফুজুর রহমান ও সোহরাব হোসেন। ম্যাচ রেফারির দায়িত্বে ছিলেন অভিজ্ঞ আখতার আহমেদ। তারাই ম্যাচ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করেছেন। ম্যাচ রেফারি আখতার আহমেদ আকবরের শাস্তির বিষয়টি সবিস্তারে তুলে ধরে বলেছেন, ‘আকবর আলী ১৮ নভেম্বর জাতীয় লিগের ম্যাচে বারবার প্রতিপক্ষের ব্যাটারকে আউট করতে আম্পায়ারের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এ জন্য তাকে শৃঙ্খলাজনিত কারণে ম্যাচ ফির ২০ শতাংশ কাটা হয়েছে। এটি লেভেল-১ অপরাধ। সেই সঙ্গে ১ ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে। এরপর ১৯ নভেম্বর ম্যাচের শেষ দিনে নিজের আউট নিয়েও ফিল্ড আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কে জড়ান আকবর। শৃঙ্খলাজনিত সমস্যা সৃষ্ট অপরাধ লেভেল-২ ভঙ্গ করায় ম্যাচ ফির ৭৫ শতাংশ কাটার পাশাপাশি ৪টি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ড্রেসিংরুমে ফেরার সময় তার ব্যাটের আঘাতে চেয়ার ভেঙেছে। এ জন্য ১ ম্যাচ নিষিদ্ধ। পরপর দুই দিন ১+৪=৫ ডিমেরিট পয়েন্ট পাওয়ায় তিন ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ থাকবেন আকবর।’ এতে শনিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া ষষ্ঠ রাউন্ডে ঢাকা মহানগরের বিপক্ষে খেলা হচ্ছে না তার। একই সঙ্গে খুলনার বিপক্ষেও খেলা হবে না যুব বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়কের। সেই হিসেবে এবার আকবরের জাতীয় লিগই শেষ!আর রংপুরও পরের দুই ম্যাচে তাদের নিয়মিত অধিনায়ক আকবরকে পাচ্ছে না। এবারের এনসিএলে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে আছে রংপুর। ৫ ম্যাচে দলটির পয়েন্ট ২১। সমান ম্যাচ খেলে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে সিলেট।