বিএনপি নয়, আ. লীগ আইসিইউতে চলে গেছে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিতঃ ফেব্রুয়ারী ২৭, ২০২৩ | ৫:৩০ অপরাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

\'নির্বাচনে না এলে বিএনপি আইসিইউতে যাবে\' আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে এক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি আইসিইউতে যাবে না, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে ইতোমধ্যে আইসিইউতে চলে গেছে। সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়াকে নিয়ে সরকার নাটক শুরু করেছে। খালেদা জিয়াকে নিয়ে এতো দরদ উথলে উঠলো কেনো? সরকার দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চায়। খালেদা জিয়ার যখন রাজনীতি করার সময় আসবে তখন যেখানেই থাকুক না কেনো তিনি রাজনীতি করবেন। এটা নিয়ে আওয়ামী লীগের মাথা না ঘামালেও চলবে। তিনি বলেন, অগ্নি সন্ত্রাসের হোতা আওয়ামী লীগ নিজে। অগ্নি সন্ত্রাস করে বিএনপির ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করে এবার লাভ হবে না। সুশৃঙ্খলভাবে আন্দোলন এগিয়ে যাবে। দেশ খাদের কিনারায় চলে আসছে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, বিদ্যুৎ গ্যাস জ্বালানির দাম বেড়েছে সেদিকে সরকারের খেয়াল নেই তাদের দরকার শুধু টাকা। বিদ্যুৎ আমদানির নামে জনগণের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বিদেশে পাচার করা হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি দুর্নীতি এমন পর্যায়ে চলে গেছে কেউ বিনিয়োগ করছে না এজন্য দায় সরকারের। মির্জা ফখরুল বলেন, যতবার ভোট চুরি হয়েছে সেটা আওয়ামী লীগ করেছে, বিএনপি কখনও ভোট চুরি করেনি। আওয়ামী লীগের লজ্জা হওয়া উচিৎ। বিএনপির ৪০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তারা মামলা নিয়ে বাণিজ্য করছে। পুলিশ কে ব্যবহার করছে, র‍্যাবকে ব্যবহার করছে। তিনি বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় দাবি এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে এবং সেই কমিশন নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। আর সেই নির্বাচনে জনগণ তাদের ভোটের মাধ্যমে নতুন সরকার গঠন করবে। মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আগস্ট মাস থেকে আমরা যখন চাল-ডাল, তেল-লবণের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলন করতে শুরু করেছি তখন থেকে তারা গুলি করে হত্যা করতে শুরু করেছে। আমাদের ১৭ জন নেতাকর্মীকে-আন্দোলনকারীকে প্রকাশ্যে রাজপথে গুলি করে মারা হয়েছে। ইতোমধ্যে আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। এখনো আমাদের কয়েক হাজার নেতাকর্মী জেলে রয়েছেন। এই যে ভয়াবহ একটি দুর্বিষহ অবস্থা। এই অবস্থা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে ভয় কেন? ভয় একটাই সেটা আপনারা খুব ভালো করে জানেন, সেটা হলো নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। সংগঠনের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, এবিএম মোশারফ হোসেন, জিএম সিরাজ, মৎস্যজীবী দলের মো. আবদুর রহিম, ওলামা দলের সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক প্রমুখ।