ইসলামাবাদ এখন কিছুটা শান্ত। কিন্তু দুপক্ষ নিজ নিজ সিদ্ধান্তে অটল থেকে শহরের দুপ্রান্তে অবস্থান করছে। এতে রাতে ফের ভয়াবহ সংঘাতের আশঙ্কা থেকেই গেল। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বহু বাধা উপেক্ষা করে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সমর্থকরা দেশটির রাজধানী ইসলামাবাদের প্রাণকেন্দ্র ডি-চকে জড়ো হয়েছিলেন। কিন্তু পাকিস্তানের আধাসামরিক বাহিনী রেঞ্জার্স তাদের লক্ষ্য করে তাজা গুলি ছুড়ে। এতে মুহূর্তে সমাবেশস্থল ইসলামাবাদের ডি-চক জনশূন্য হয়ে যায়। কিন্তু গুলি ও টিয়ার গ্যাসের মধ্যেই আবারও জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেন তারা। প্রতিবারই পুলিশ ও রেঞ্জার্স-এর বাধার মুখে বিক্ষোভকারীরা এক পর্যায়ে ডি-চকের আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেন। বিবিসির সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, সন্ধ্যার পর নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে ডি-চক এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে। অপরদিকে গুলির খবরে বুশরা বিবির গাড়িবহর সেভেন অ্যাভিনিউয়ের দিকে যেতে বাধ্য হয়েছে। তারা সেখানে অবস্থান নিয়েছেন। বলেছেন, আবারও ডি-চকের দিকে তারা অগ্রসর হবেন। এদিকে সেভেন অ্যাভিনিউ ও ডি-চকের আশপাশের এলাকার বাজার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দুপক্ষ পৃথক অবস্থানে থাকলেও রাত বাড়ার সাথে সাথে ইসলামাবাদে উত্তেজনা বাড়ছে। পিটিআই সমর্থকরা আশেপাশের এলাকায় পুনরায় সংগঠিত হচ্ছে। তেমনি ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে ডি-চকে নিরাপত্তা বাহিনী ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে। আপাতদৃষ্টিতে সংঘর্ষ এড়িয়ে গেলেও বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা কাটেনি। ইমরান খান এখনও কারাগারে রয়েছেন। তিনি এক্স-বার্তায় তার অনুসারীদের ‘শেষ পর্যন্ত লড়াই’ করার এবং তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে পার্শ্ববর্তী শহরগুলো থেকে পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীকে রাজধানীতে ডাকা হয়েছে। পুলিশ বিবিসিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এ ধরনের প্রস্তুতিতে দেশটিতে সম্ভাব্য রাতের পরিস্থিতি নিয়ে নানা গুঞ্জন চলছে। ইমরান খানের মুক্তি ও সরকারের পদত্যাগের দাবিতে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) ডাকে এ বিক্ষোভ হচ্ছে। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে না নিয়ে ঘরে ফিরবেন না বলে শপথ করেছেন তার স্ত্রী বুশরা বিবি। তিনি বলেছেন, সবাই চলে গেলেও ডি-চক তিনি ছাড়বেন না। যদি ছাড়তে হয় তবে তিনিই হবেন শেষ নারী। ডি-চক অভিমুখে রোড মার্চের একপর্যায়ে দেওয়া বক্তব্যে মিছিলকারীদের উদ্দেশ্যে বুশরা বিবি বলেন, তিনি তার স্বামী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানকে ব্যতীত ডি-চক ছেড়ে যাওয়া শেষ নারী হবেন। যদিও বুশরা বিবিই এখনও ডি-চকে পৌঁছাতে পারেননি।