প্রবাসীদের দীর্ঘদিনের সমস্যা নিরসন হলো ফ্রান্সে। দেশটির রাজধানী প্যারিসে বাংলাদেশ মিশনে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হলো ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম। রবিবার (২৪ নভেম্বর) ফ্রান্সের প্যারিসে অবস্থানরত বাংলাদেশ দূতাবাসে এর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম উদ্বোধন হয়। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশেই প্রথম ই-পাসপোর্ট চালু হয়। বিশ্বে ১১৮টি দেশে এ সেবা চালু রয়েছে। বাংলাদেশ ১১৯তম দেশ হিসেবে এই পাসপোর্ট নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হয়েছে। ফ্রান্সের বাংলাদেশ মিশনসহ পৃথিবীর ৪৬টি মিশন ও কনসুলেটে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু হয়েছে। ফ্রান্সে প্রবাসী বাংলাদেশীদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে ই-পাসপোর্ট সেবা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছে ফ্রান্সের বাংলাদেশ মিশন। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নুরুল সালাম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতারা। দীর্ঘদিনের প্রবাসীদের প্রাণের দাবি পূরণ হওয়াতে খুশিতে আত্মহারা ফ্রান্সে বসবাসরত প্রবাসীরা। ই-পাসপোর্ট আবেদনকারী প্রবাসী জাহাঙ্গীর বলেন, এটি ফ্রান্সের প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনেকদিনের দাবি ছিল। অবশেষে তা আদায় হয়েছে। মাত্র ২০-২৫ মিনিটে আবেদনের কাজ করতে পেরে ভালো লাগছে। ফ্রান্সের বাংলাদেশ কমিউনিটি নেতা রোকন উদ্দিন বলেন, ইউরোপের অন্যান্য দেশে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু থাকলেও দীর্ঘদিন পর প্যারিসে এ সেবা পৌঁছালো। যা প্রবাসীদের জন্য একটি অনন্য সুযোগ। বাংলাদেশ মিশন ই-পাসপোর্ট চালুর ফলে এখানে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট সংক্রান্ত প্রক্রিয়া সহজতর ও নিরাপদ হবে। বিশ্বের অনেক দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি স্বাক্ষরে আগ্রহী হবে। ফলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের পাসপোর্টের মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।