সিনিয়র সাংবাদিক শফিক রেহমান বলেছেন, তারেক রহমানকে জেলবন্দি করে নিষ্ঠুর নির্যাতন করা হয়। চোখ বাঁধা অবস্থায় তাকে সিলিং থেকে মেঝেতে ফেলে রাখা হয়, তার কোমর ভেঙ্গে যায়। তাকে ঢাকা সেন্ট্রাল জেলের ৩নং মেডিকেল ওয়ার্ডের ৩নং বেডে চিকিৎসার জন্য রাখা হয়। এ চিকিৎসায় কোন উন্নতি না হওয়ায় কিছু বন্ধু দেশের চাপে অফিসাররা বাধ্য হয় তারেক রহমানকে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যেতে দিতে। তবে যাবার আগে জোর করে বানোয়াট শিকারোক্তিতে তার সই নেওয়া হয়। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে বনানী হোটেল লেকশোরে লেখক জয়নাল আবেদীন এর ‘তারিক রহমান: পলিটিক্স অ্যান্ড পলিসিস কনটেমপোরারি বাংলাদেশ’ বইয়ের মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। বই প্রকাশনী অনুষ্ঠানের বক্তব্যে অনেকে শেখ হাসিনা পালিয়েছে এমন শব্দ ব্যবহার না করে শেখ হাসিনা চলে গেছে বলায় অনেকটা দুঃখ প্রকাশ করে শফিক রেহমান বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে এ কথা বলতে এখনো অনেকে লজ্জা পায়। এতো লজ্জা কেন? সত্য কথাটা বলতে। সিনিয়র এই সাংবাদিক বলেন, শেখ হাসিনা বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে পদ্মা সেতু থেকে দুইবার চুবিয়ে উঠানোর কথা বলেছেন, তবে দেখতে হবে তিনি যেন মারা না যান। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে টুস করে ফেলে দিতে বলেছেন, তবে এখানে তাকে উঠিয়ে আনার কথা বলেননি। তারমানে তখনই তাকে হত্যার উষ্কানি দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ওয়ান এলেভেনের সময় খালেদা জিয়া দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাননি। পক্ষান্তরে স্বৈরাচারীনি হাসিনা পালাবে না বলেও পালিয়ে গেছেন অন্তত চারবার। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা বাবা শেখ মুজিব সবাইকে যুদ্ধে নামিয়ে দিয়ে চলে গেছেন পাকিস্তানে আর তিনি পালিয়ে গেছেন ভারতে। তারেক রহমানের বাড়িতে যাওয়ার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমি তার (বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান) বাড়িতে (লন্ডনে) গিয়ে পিয়ানো দেখে অবাক হয়েছিলাম। আমি তার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করি, এ পিয়ানো কে বাজায়? আমি দেখছি, আমি যে গানগুলো বাজানো শিখছি সে গানগুলো তারেক রহমানের পিয়ানোর এখানে সাজানো। তার স্ত্রী বললো, তারেক কিন্তু ছোটবেলা থেকে গানের অনেক ভক্ত। আমি বললাম, এটা তো কেউ জানে না। গান সে করে না কিন্তু এখানে এসে পিয়ানো শিখতে চেয়েছিল, আমি তাকে গত জন্মদিনে এটা উপহার দিয়েছি। তারেক রহমান দীর্ঘ দিন লন্ডনে বসবাস করায় সেখানকার শাসনব্যবস্থার আদলে বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থা স্বচ্ছ ও জনবান্ধব করে গড়ে তুলবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ জমিরউদ্দীন শিকদার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান, উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ওবায়দুল ইসলাম, প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, শরিফুল ইসলাম ববি প্রমুখ।