রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যার পর ঢাকার কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে সুরক্ষিত প্রিজনভ্যানে তাকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়। আগামী ৫ নভেম্বর তাকে রাজশাহী মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও পরে জেলার একটি জুডিসিয়াল আদালতে হাজির করা হবে। আসাদের বিরুদ্ধে রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানায় একটি ও মোহনপুর এবং আদালতে করা হাফ ডজন মামলা রয়েছে। এর আগে গত ৬ অক্টোবর ঢাকার বারিধারা এলাকা থেকে আসাদুজ্জামান আসাদকে গ্রেফতার করে র্যাবের একটি অভিযানিক দল। গ্রেফতারের পর থেকে এতদিন তাকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কারাগারে রাখা হয়েছিল। তাকে রাজশাহীতে নেওয়ার জন্য একাধিকবার দিন তারিখ ঠিক করা হলেও বিভিন্ন কারণে তা হয়নি। সর্বশেষ গত বুধবার তাকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এদিকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের একটি সূত্র জানিয়েছে, আদালতের আদেশ না থাকায় আসাদুজ্জামান আসাদকে আপাতত কারাগারে বিশেষ ব্যবস্থায় রাখা হয়েছে। আদালতের আদেশ পেলে তখন তাকে ডিভিশন সুবিধায় রাখা হবে। রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. আমান উল্লাহ জানান, এর আগে রাজশাহী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক কারাগারে কয়েদিদের হামলার শিকার হন। একই আশঙ্কায় সাবেক সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামানকে কারা হাসপাতালে না রেখে বিশেষ ব্যবস্থায় রাখা হয়েছে। ডিভিশন আদেশ পাওয়া গেছে ডিভিশনপ্রাপ্ত অপর তিন সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, আবুল কালাম আজাদ ও রাহেনুল হক রায়হানের সঙ্গে রাখা হবে। অন্যদিকে, আগামী ৫ ডিসেম্বর আসাদুজ্জামান আসাদকে আদালতে তোলার সময় যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে কারণে কারা কর্তৃপক্ষ রাজশাহী মেট্টোপলিটন পুলিশকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতের অনুরোধ করেছেন বলে জানা গেছে। রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, এর আগে কয়েকজন নেতাকে আদালতে হাজির করা হলে তাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ কারণে আগেই নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত হতে চায় জেল কর্তৃপক্ষ। রাজশাহী মেট্টোপলিটন পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন আগামী ৫ ডিসেম্বর আদালত প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আসাদুজ্জামান আসাদ রাজশাহী-৩ ( মোহনপুর-পবা) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। গত ৫ আগষ্টে সরকার পতনের পর আত্মগোপনে ছিলেন।