রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) তিন ছাত্রলীগ নেতাসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুই ছাত্রীকে প্রাণনাশের হুমকি ও তাদের বন্ধুদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহণ মার্কেটের পাশে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা হলে- আফসানা আক্তার আশা ও আফরোজা আক্তার আলো। তারা যমজ বোন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। অভিযুক্তরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপ-ক্রীড়া সম্পাদক রাব্বিউল ইসলাম রূপক, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান, জিয়াউর রহমান হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ফরহাদ হাসান। অভিযোগে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বলেন, ঘটনার দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ৪ বন্ধুসহ তিনি পরিবহণ মার্কেটের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় আফসানা আক্তার আশা রাস্তায় পড়ে থাকা একটি নুড়ি পাথরে লাথি মারেন। সেই পাথর ছাত্রলীগ নেতাদের একজনের পায়ে লাগে। তাৎক্ষণিক আশা ছাত্রলীগ নেতাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন। কিন্তু এসময় ছাত্রলীগ নেতাদের একজন তাদের হুমকি দেন। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের বন্ধুরা এর প্রতিবাদ করলে তারা মোবাইল ফোনে কল করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপ-ক্রীড়া সম্পাদক রাব্বিউল ইসলাম রূপককে ডেকে আনেন। পরে তার নেতৃত্বেই আরও ১৪-১৫ জন তার চার বন্ধুকে মারধর করেন। এতে নাজমুস সাকিব শুভ ও রাকিবুল্লাহ রাকিব নামের তার দুই বন্ধু আহত হন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান বলেন, হুমকির অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। তবে সেদিন তাদের সঙ্গে একটু কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ধাক্কাধাক্কিও হয়। তবে ছাত্রলীগ নেতা রুপকের সঙ্গে এবিষয়ে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। এতে আমাদের ছাত্রলীগের কয়েকজনের মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। দুপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।