দুটি ফৌজদারি অপরাধে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ছেলে হান্টারকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা করে দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যদিও এর আগে তিনি বলেছিলেন যে, তিনি ছেলের বিচারকাজে হস্তক্ষেপ করবেন না। তবে রোববার এক বিবৃতিতে তিনি ছেলেকে ক্ষমা ঘোষণা করে বলেছেন, হান্টারের সাজার ঘটনা সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে আদালতের ব্যর্থতা। শুধু আমার ছেলে হওয়ার কারণে তাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। খবর-বিবিসি আগ্নেয়াস্ত্র কেনার সময় মাদকাসক্তি নিয়ে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার মামলায় এ বছরের জুনে দোষী সাব্যস্ত হন হান্টার বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়ার অঙ্গরাজ্যের একটি আদালত এ–বিষয়ক ফৌজদারি অপরাধের তিনটি অভিযোগেই তাকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেন। বাইডেনপুত্রের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ, আগ্নেয়াস্ত্র কেনার সময় তিনি মিথ্যা তথ্য দেন। দ্বিতীয় অভিযোগ, অস্ত্র বিক্রেতার নথিপত্রেও মিথ্যা তথ্য থাকার বন্দোবস্ত করেন। তৃতীয় অভিযোগ হলো, হান্টার বাইডেন অবৈধভাবে আগ্নেয়াস্ত্র কাছে রেখেছিলেন। এ মামলায় বলা হয়, ২০১৮ সালে একটি হ্যান্ডগান কিনেছিলেন হান্টার বাইডেন। সেই অস্ত্র কেনার সময়ই নিজের মাদকাসক্তি নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন তিনি। মাদকাসক্তি ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে হান্টার বাইডেনকে। দীর্ঘদিন ধরে এসব বিষয় নিয়ে তাঁকে ভুগতেও হয়েছে। তিনি ২০১৮ সালে কোকেনে আসক্তির কথা স্বীকার করেন। ২০১৫ সালে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান হান্টারের বড় ভাই বিউ বাইডেন। হান্টার বাইডেন তাঁর আত্মজীবনী ‘বিউটিফুল থিংস’-এ লিখেছেন, ভাইয়ের মৃত্যুর পর তিনি মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। ২০১৯ সালে হান্টার মাদক ছাড়েন। যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, দেশটির নাগরিকদের অস্ত্র কেনার অধিকার রয়েছে। কিন্তু অস্ত্র কেনার সময় একজন ব্যক্তিকে আবেদনপত্রে অবশ্যই এটা উল্লেখ করতে হবে যে তিনি মাদকে আসক্ত কি না। এছাড়া চলতি বছরের ৬ সেপ্টেম্বর কর ফাঁকির মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড হয় হান্টারের। ২০১৬ ও ২০১৯ সালের মধ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে ১ কোটি ৪০ লাখ ডলার আয়কর দেননি এ অভিযোগ ছিল মামলায়।