রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় একটি মামলা করেছেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফজলুর রহমান। তাঁর অভিযোগ, ১৪০–১৫০ জন মিলে তাকেসহ দুজনকে মারধর করে ২০ হাজার টাকা ‘চুরি’ করেছেন। আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ–সহযোগী সংগঠনের থানা পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা। গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা মামলার এজাহারে বাদী বলেছেন, ২০২৩ সালের ২৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় তিনি মগবাজার টিঅ্যান্ডটি কলোনি থেকে বাসায় ফিরছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সম্রাট ভুঁইয়া। নয়াটোলা তিন রাস্তার মোড়ে আসামিরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের আটক করে। একটি বেকারিতে রেখে তাদের বেধড়ক পেটানো হয়। ওই সময় আসামিরা তাঁর পকেটে থাকা ২০ হাজার টাকা চুরি করে। মামলায় নির্দেশদাতা থেকে শুরু করে চুরি ও মারধরে জড়িত হিসেবে ৭২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৭০–৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে রয়েছেন– ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৈমুর রেজা খোকন, ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোক্তার সরদার, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পিএস মনির হোসেন, ব্যক্তিগত সহকারী রেজোয়ানুল হক রোমান, কথিত পিএস মাসুদ হাওলাদার কোহিনুর, ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সাঈদুর রহমান সাঈদ, ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।