আত্রাইয়ে হাট বাজার গুলোতে শীত কালীন সবজির সমাহার চড়াদামে অসন্তোষ ক্রেতারা

প্রকাশিতঃ ডিসেম্বর ৩, ২০২৪ | ১০:২৮ অপরাহ্ন
নাসির উদ্দিন, উপজেলা সংবাদদাতা, আত্রাই, নওগাঁ

উত্তর জনপদের শস্য ভান্ডার খ্যাত সীমান্ত লাগোয়া গ্রামীন জনপদ নওগাঁ র আত্রাইয়ে গ্রামীণ হাট বাজার গুলোতে এখন শীতকালীন শাক সবজির সমাহার. তবে চড়া দামে অসন্তোষ সাধারণ ক্রেতারা,সাধ্যের মধ্যে শীতকালীন শাক সবজির দাম না থাকায় কিছুটা অস্বস্তিতে এই জনপদের খেটে খাওয়া শ্রমিক দিনমজুর সহ নিম্নআয়ের মানুষ। দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবনে নেমেছে অমানিশার ঘোর অন্ধকার। প্রান্তিক পর্যায়ের খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষের প্রধান কয়েকটি সমস্যার মধ্যে অন্যতম সমস্যা হলো দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি। মাছ সবজি কোন কিছুর কমতি নেই হাট বাজারের দোকান গুলতো তবুও দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে কোন কিছুতেই স্বস্তি মিলছেনা সাধারণ ক্রেতাদের। বাজারে আসা শীতের সবজি পাতে তোলা যেন স্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে নিম্ন আয়ের মানুষের। এটি যেন গ্রামীন জনপদের নিম্ন আয়ের মানুষের বিশাল বড় একটা সমস্যা। অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে ক্রমাগতভাবে বেড়েছে নিত্য প্রয়েজনীয় খাদ্যপণ্য মাছ. মাংস. শাক সবজি. ডিম ও ব্রয়লার মুরগীর দাম।বিশেষ করে শীতকালীন শাক সবজির দাম বেশ চড়া হওয়ায় প্রভাব পড়েছে বেশি, তাই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে খেটে খাওয়া শ্রমিক দিনমজুর সহ প্রান্তিক পর্যায়ের জনগোষ্ঠীর। সরজামিনে উপজেলার বিভিন্ন হাট ঘুরে জানাগেছে ।নতুন সাদা জাতের আলু,৯০থেকে১২০, মুলা,কচুর মুখি, পটল,বিক্রি হচ্ছে ৭০থেকে ৮০ এবং করলা,বেগুন,ফুলকপি বরবটি,বিক্রি হচ্ছে ৬০থেকে ৮০টাকা কেজি দরে।পেঁপে,পুঁইশাক ২০থেকে ৩০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, টমেটোর দাম১৫০থেকে ২২০ টাকা লালশাক ও পালং শাক ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচের দাম কিছু টা কমলে ও বেড়েছে পেঁয়াজের দাম প্রকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ১২০থেকে ১৬০টাকা কেজি দরে। উপজেলার ভবানী পুর বাজারে আসা বেশ কয়েজন ক্রেতার সংঙ্গে মতবিনিময় হলে দোকান শ্রমিক ফাসাদুল ইসলাম বলেন স্বল্প আয়ের মানুষের এতো চড়া দামে মাছ সবজি কিনে পরিবারের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে । সস্তা মাছ পাঙ্গাস এবং সবজি হিসাবে সস্তা কাঁচা পেঁপে নিয়েছি ক্ষুধা নিবারনের জন্য । অসাধু ব্যাবসায়ীদের মুনফা লিপ্সার কারনে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাজারে মুল্য বৃদ্ধির ধাক্কা আসায়, এই গ্রামীন জনপদের মানুষের জীবন যাত্রার মান নীচের দিকে চলে যাচ্ছে। দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি জনজীবনে বয়ে আনছে অমানিশার ঘোর অন্ধকার। এমন পরিস্থিতি মোকাবিলা ও ভোক্তাদের হাতে যৌক্তিক মূল্যে খাদ্য ক্রয়ে এবং অসাধু ব্যাবসায়ীদের দৌরাত্ম ঠেকাতে বাজার মনিটরিং জরুরি। এবং প্রতিটি বাজারে ন্যাযমূলের দোকান প্রয়োজন এমনটাই মনে করছেন সাধারণ সচেতন প্রান্তিক পর্যায়ের জনগোষ্ঠী ।