পাকিস্তানের থেকে আলোচিত জাহাজ আবারও চট্টগ্রামের পথে

প্রকাশিতঃ ডিসেম্বর ৪, ২০২৪ | ৮:৪০ পূর্বাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তানের করাচি থেকে পণ্য নিয়ে আলোচিত জাহাজ ‘এমভি ইউয়ান জিয়ান ফা ঝং’ আবারও আসছে। আগামী ১৯ ডিসেম্বর জাহাজটি কনটেইনারবাহী পণ্য নিয়ে বন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নৌবাণিজ্য দপ্তরের প্রিন্সিপাল অফিসার এবং রেজিস্ট্রার অব বাংলাদেশ শিপস ক্যাপ্টেন সাব্বির মাহমুদ। এর আগে গত ১১ নভেম্বর, মুক্তিযুদ্ধের পর পাকিস্তান থেকে সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করা প্রথম জাহাজ হিসেবে এটি ইতিহাস গড়ে। সেদিন ৩৭০ একক কনটেইনার খালাস শেষে এটি ইন্দোনেশিয়ার বেলাওয়ান বন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। ক্যাপ্টেন সাব্বির মাহমুদ নতুন রুটের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “করাচি এবং দুবাইয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের নৌবাণিজ্যিক সংযোগ অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। এটি বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সক্ষমতা বাড়াবে এবং ব্যবসায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।” নতুন রুটে বাণিজ্যের প্রসার এই রুটের মাধ্যমে জাহাজটি দুবাইয়ের জেবল আলী বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে করাচি, চট্টগ্রাম, ইন্দোনেশিয়ার বেলাওয়ান, মালয়েশিয়ার পোর্ট কেলাং, ভারতের মুন্দা হয়ে পুনরায় জেবল আলীতে ফিরে যাবে। এটি একটি নিয়মিত রাউন্ডিং রুট যা দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাণিজ্যিক সংযোগ বাড়াতে সহায়তা করবে। চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, “নতুন এ রুট চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রমকে বহুগুণে সমৃদ্ধ করবে। এটি শুধু দুই দেশের বাণিজ্য নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়ার সমন্বিত বাণিজ্য ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।” দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্কের উন্মোচন বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ নতুন এ উদ্যোগকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তিনি বলেন, “এটি কেবল বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের বাণিজ্য সম্প্রসারণ নয়, বরং এই অঞ্চলে একটি সমন্বিত বাণিজ্য নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার বড় পদক্ষেপ।” এই রুট বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং বাণিজ্যিক যোগাযোগে নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি শুধু বাণিজ্যের প্রসারই নয়, বরং আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। নতুন এ রুটের কার্যক্রমের সফল বাস্তবায়ন বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক নৌবাণিজ্যে আরও শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।