আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হোক, সেই সুপারিশ আমরা করব বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার। নির্বাচনে অযোগ্য না হলে সবার অংশগ্রহণের সুযোগ থাকা উচিত। আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে সংস্কার কমিশন থেকে কোনো রকম বাধা দেওয়া হচ্ছে না, সেটা নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার। বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার বিষয়ে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সংস্কার প্রস্তাবনার কাজ প্রায় শেষ দিকে। হাজারও প্রস্তাবনা এসেছে, সেগুলো পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত প্রস্তাবনা ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তুলে দেওয়া হবে। এরপর সেই প্রস্তাবনা নিয়ে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসে আলোচনা করে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করবে। এর মাধ্যমে গণতন্ত্রের উত্তরণ ঘটবে। নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, ভোটার তালিকা সংশোধন, হালনাগাদ করা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। আমরা এসব বিষয়ে সুপারিশ করব। নির্বাচন কমিশন অবশ্যই নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারবে। অতীতে নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলের প্রভাবে প্রভাবিত হয়েছে, কারণ সেই নির্বাচনগুলো দলীয় সরকারের সময়েই হয়েছে। এ সময় সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের রংপুর জেলা সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন, মহানগর সভাপতি খন্দকার ফখরুল আনাম বেঞ্জু, সুজনের বিভাগীয় সমন্বয়ক রাজেস দে রাজুসহ রংপুর মহানগর ও জেলা সুজনের কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় মিলনায়তনে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।