সিলেটের আদালত এলাকায় আসামিদের ওপর বারবার হামলা হচ্ছে। সাবেক বিচারপতি থেকে শুরু করে সাধারণ আসামিও হামলার শিকার হয়েছেন। বৃহস্পতিবার আদালত চত্বরে বাদীপক্ষের হামলায় রক্তাক্ত জখম হন সিলেটের বালাগঞ্জের পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমির হোসেন নুরু। তিনি বালাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সায়েম আহমদ সুহেল হত্যা মামলার প্রধান আসামি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আদালতে নেওয়ার সময় বাদীপক্ষের লোকজন আমিরকে বেধড়ক মারধর করে। ওই সময় তার নাক ও মাথা রক্তাক্ত দেখা যায়। পরে পুলিশ তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এর আগে গত ২৪ আগস্ট আদালত পাড়ায় হামলার শিকার হন সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। পরে ২৪ নভেম্বর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর একে লায়েক এবং ২৮ নভেম্বর বিএনপি কর্মী বিলাল আহমদ হত্যা মামলার তিন আসামি হামলার শিকার হন। আদালত থেকে জানা যায়, সুহেল হত্যায় আওয়ামী লীগ নেতা আমিরকে বুধবার রাতে নগরীর মীরের ময়দান এলাকা থেকে আটক করে র্যাব। বালাগঞ্জ থানা বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে সিলেটের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করতে নিয়ে গেলে হামলা হয়। আদালত চত্বর ও বারান্দায় পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে কয়েকজন তাকে কিল-ঘুসি মারতে থাকেন। পুলিশ ঠেকানোর চেষ্টা করলেও পারেনি। এ বিষয়ে মহানগরের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) সাইফুল ইসলাম বলেন, পুলিশের নিরাপত্তার কমতি নেই। তারপরও একশ্রেণির লোক আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে। এটা খুবই দুঃখজনক। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বালাগঞ্জের আজিজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সায়েম আহমদ সুহেলকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় সুহেলের চাচাতো ভাই পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ২৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। আমির ওই মামলার আসামি।