ফরিদপুরে আওয়ামীলীগ শাসন আমলে কয়েকটি মামলার আসামি ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মো: আরিফুল ইসলাম সহ আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ফরিদপুর কোতয়ালী থানা পুলিশ প্রতিদিন আসামিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিযান চালাচ্ছে। আসামিরা গ্রেফতার এড়াতে দেশ ও বিদেশ সহ বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করে আছেন। আসামিরা হল - মেসার্স আবিদ এন্টারপ্রাইজ এর মালিক বা প্রোপাইটার ও তিন নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি এবং জেলা যুবলীগের সদস্য মো: আরিফুল ইসলাম (৪৪), পিতা :মো: সাইদুর রহমান ফকির। সাং- শ্যামসুন্দরপুর পোষ্ট-কোমরপুর, ফরিদপুর, ২। জুয়েল মন্ডল (৪০), পিতা- আ: মান্নান মন্ডল, সাং কবিরপুর ফরিদপুর। ৩। রানা প্রামাণিক (৩৭), পিতা- সিরাজ প্রামানিক, সাং- ডোমরাকান্তি, ফরিদপুর, ৪। জাহিদ বেপারী (৪৪), পিতা- কছিম উদ্দিন বেপারী সহ ৮জন আসামী । এছাড়া আসামীদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলা রয়েছে। তাছাড়া তারা বিভিন্ন মামলার আসামী এবং আওয়ামী লীগের শাসন আমলে বিভিন্ন কার্যকলাপের সাথে তারা জড়িত ছিল। গ্রেফতারের ভয়ে আরিফুর ইসলামকে এলাকায় বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দেখা যাচ্ছে না। আসামিদের বিরুদ্ধে ফরিদপুর কোতয়ালী থানা মামলা নম্বর- ১৩, তারিখ- ১২/০৭/২০১৬, ধারা- ১৪৩, ৩২৩, ৩২৪, ৩২৫, ৩০৭, ৩৭৯, ৫২৭, ১১৪, ও ৫০৬ দন্ডবিধি। মামলাটির করেন মামলার বাদী এস, এম কামরুজ্জামান, পিতা -ইসাহাক শেখ, মুসলিম মিশনের পাশে কোমলপুর, ইউনিয়ন- -আম্বিকাপুর, থানা-ফরিদপুর কোতয়ালী থানা, ফরিদপুর। মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ১১/০৭/২০১৬ তারিখে রাত আনুমানিক দশটার সময় ফরিদপুর কোতয়ালী থানাধীন রাজবাড়ী রাস্তার মোড় এলাকায় ঢাকা কাউন্টারের আসিয়া উল্লেখিত ৮জন আসামি সহ আরো ৪-৫ জন অজ্ঞাত আসামীরা মারাত্মক আগ্নেয়াস্ত্র বেশিয় অস্ত্র, পিস্তল, রামদা, লোহার রড, চাপাতি, কাঠের বাটাম আমাকে সহ আমার ভাই কামাল এবং সহকারী লিটন বিশ্বাসকে আক্রমণ করে। এঘটনায় আমি ৫-৭ জন লোক আহত হয়। হামলায় আমার কাউন্টার ভাংচুর করে নগদ টাকা ৭৫ হাজার টাকা, স্বর্ণের চেন নিয়ে যায় এবং অনেক ক্ষতি সাধন করে । এ সময় আসামি আরিফুল ইসলামের হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে বাস কাউন্টারের সহকর্মী ছোটন বিশ্বাসকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে গুলি করে। সেই গুলিটি গলার ডানপাশ দিয়ে ঢুকে মারাত্মক আহত হয়। আসামি জুয়েল মন্ডল আমার ভাই কামালকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে গুলি করিয়া পাশে ঢুকিয়ে মারাত্মক রক্ত জখম হয়। আমি মামলার বাদী কামরুজ্জামান, আমার ভাই কামাল, আমার কাউন্টার সহকারী ছোটন মারাত্মক রক্তাক্ত জখম হই। স্থানীয়রা আমাদেরকে ফরিদপুর মেডিকেলে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এঘটনা ফরিদপুর কোতয়ালি থানা পুলিশ সুত্রে জানা যায়, আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে। তবে আসামিরা গ্রেফতার এড়াতে বিভিন্ন দেশ বিদেশে বিভিন্ন এলাকায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আসামিদেরকে যেকোন মুহূর্তে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে। এলাকাবাসীর দাবী, ফরিদপুরবাসীর পক্ষ থেকে প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে উপরোক্ত আসামি গুলো অতি দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক।