পশ্চিম ও মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় বাগেরহাটে গভীর রাত থেকেই শুরু হয়েছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। আজ শনিবার সকালেও বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন জরুরি কাজ ও জীবিকার প্রয়োজনে বাইরে বের হওয়া সাধারণ মানুষ। বৃষ্টির কারণে দিনমজুর, রিকশাচালক ও ভ্যানচালকদের কাজ করতে বেশ কষ্ট হচ্ছে। শহরের মূল বাজারে ক্রেতাদের আনাগোনা কমে যাওয়ায় অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীও বিপাকে পড়েছেন। রিকশাচালক মালেক ইসলাম বলেন, সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। ভিজে ভিজে রিকশা চালাচ্ছি, যাত্রীও কম। দিনে যা আয় করি, আজ তার অর্ধেকও হবে না। ভ্যানচালক মজিদ মিয়া বলেন, বৃষ্টিতে কাজ করতে খুব কষ্ট হচ্ছে। ঠান্ডায় হাত-পা জমে যাচ্ছে। কিন্তু কাজ না করলে পরিবার না খেয়ে থাকবে। বাধ্য হয়েই কাজে বের হয়েছি। স্থানীয় কৃষক আবদুল গফুর বলেন, ধান শুকানোর সময় চলছে। এখন ধান ভেজা থাকলে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা বাড়বে। কিছু দিন রোদ না পেলে বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। মোংলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবহাওয়াবিদ মো. হারুন অর রশিদ জানিয়েছেন, ভোর রাত থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বাগেরহাটে ১ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমকি ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।