মিরপুর শেরে বাংলার উইকেট ধীর ও নিচু হয়। স্পিনাররা সুবিধা পান এখানে। একটা উইকেটে যেমন ভালো রান হয়। লো স্কোরিং উইকেটও আছে। ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে উইকেটে কেমন হবে তা গ্রাউন্ডসম্যানরা জানেন বলে উল্লেখ করেছেন ইংল্যান্ডের ডানহাতি স্পিন অলরাউন্ডার মঈন আলী। তবে এও জানিয়েছেন, উইকেট যা-ই হোক আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলবেন তারা। মঈন আলী বলেছেন, ‘অবশ্যই আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলবো। সারা বিশ্বেই আমরা আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলছি। এটা ভিন্ন কন্ডিশনে ভিন্ন চ্যালেঞ্জ এবং ভিন্নভাবে পরিকল্পনা নিয়ে খেলতে হয়। তবে আমাদের মাইন্ডসেট একই থাকে। যে কোন কন্ডিশনে খারাপ বোলিং করলে যে কেউ সুযোগ নেবে। আমরা আত্মবিশ্বাসী।’ ইংল্যান্ড শেষ ১০ ওয়ানডে ম্যাচের সাতটিতে হেরেছে। ফল হয়নি একটিতে। যদিও ওয়ানডে সুপার লিগের টেবিলে টপ থ্রিতে আছে তারা। মঈন আলীর মতে, তারা আট ম্যাচে জিততে পারেননি এটা যেমন সত্য। তেমনি তারা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন এটাও সত্য। সুতরাং বাংলাদেশকে ফেবারিট মানতে নারাজ তিনি। ইংল্যান্ড ক্রিকেটারদের অনুশীলন। ছবি: বিসিবি মঈন বলেছেন, ‘কারা ফেবারিট তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। বাংলাদেশ নিজ কন্ডিশনে খুবই ভালো দল। আমরা আট ম্যাচে না জিতলেও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। সম্প্রতি আমরা সেরা দল নিয়ে খেলতে পারিনি। তবে মার্ক উড, আর্চার ফিরেছে। উইল জ্যাক আছে। টেস্ট সিরিজের জন্য কিছু ক্রিকেটার আসতে না পারলেও দলটা ভালো। সিরিজ শেষের আগে কারা ফেবারিট বলা কঠিন।’ ওয়ানডে ফরম্যাটে বড় রান করা কিংবা বড় রান তাড়ায় ইংল্যান্ডের জুড়ি মেলা ভার। জস বাটলার, উইল জ্যাক, মঈন আলীদের নিয়ে দলটাকে ‘স্লগার’ মনে করা হয়। যারা ইনিংসের অর্ধেক হওয়ার পরে বিস্ফোরক ব্যাটারে পরিণত হন। তবে মঈন ‘স্লগার’ না বলে তারা আগ্রাসী ক্রিকেটে অভ্যস্ত বলে মনে করছেন। তিনি বলেন, ‘ওয়ানডেতে এখনও ক্লাসিক ক্রিকেটের জায়গা আছে। আমরা স্লগার নই। আমাদের দলটা ভালো এবং তারা আগ্রাসী ক্রিকেটে অভ্যস্ত। ব্যাটাররা অধিকাংশ সময় ক্রিকেটিং শটই খেলেন। তারা প্রথমে ক্রিজে সেট হতে সময় নেয় এরপর যেভাবে খেলা দরকার ওই স্বাভাবিক খেলাটা খেলে। তারা আত্মবিশ্বাসী এবং ওভাবে খেলতে গিয়ে আউট হওয়ার ভয় পায় না। আমরা দলটাকে এগিয়ে নিতে চাই এবং সেভাবেই ক্রিকেট খেলি।’