চার দফা দাবিতে ক্লাস বর্জন করে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের ভিভিটিসি টেকনিক্যাল স্কুলের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সব ধরনের ক্লাস বর্জন করে স্কুলের গেইটে ও সুপারিনটেনডেন্টের কক্ষের সামনে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। দাবি গুলো হলো,স্কুলের সুপারিনটেনডেন্টের দুর্নীতির বিচার ও পদত্যাগ,শিক্ষকদের সাথে অসদাচরণের বিচার,স্কুলে এমপিও কার্যক্রম চালু করা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্কুলের ৮ জন শিক্ষক ও ২জন কর্মচারী গত বছরের ১৩ নভেম্বর অধ্যক্ষ মো.শাহজাহানের বিরুদ্ধে তৎকালীণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে বলা হয়েছে,পাবলিক পরীক্ষা থেকে উদ্ধৃত টাকা স্কুলের ব্যাংক হিসাবে জমা না দিয়ে আত্মসাত করে সুপারিনটেনডেন্ট শাহজাহান। সুপারিনটেনডেন্ট স্কুলে আইসিটি শিক্ষক পদে সনদ না থাকা সত্ত্বেও তার ভাই আইয়ুব আলীকে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে নিয়োগ দেয় এবং আপন শ্যালক ফিরোজ আলম শিবলুকে ট্রেড ইন্সট্রক্টর (ইলেট্রিক্যাল) পদে নিয়োগ দেয়। ইন্ড্রাট্রিয়াল ট্রেনিয়ের নামে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়। শিক্ষকদের সাথে সব সময় শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণ করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, এই স্কুলে পড়তে বছরে ১০হজার টাকা দিতে হয়। আমাদের স্কুল ২০১৯ সালে এমপিও ভুক্ত হলেও অদৃশ্য কারণে এখনো এমপিও কার্যক্রম চালু করা হয়না। অধ্যক্ষ এবং তার ভাই স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে খারাপ আচরণ করে। তারা স্কুলে পরিবারতন্ত্র গড়ে তুলেছে। আমরা দ্রুত এ সুপারিনটেনডেন্টের দুর্নীতির বিচারও পদত্যাগ এবং শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার খরচ কমানোর দাবি করছি। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ভিভিটিসি টেকনিক্যাল স্কুলের সুপারিনটেনডেন্ট মো.শাহজাহান বলেন,এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডেকেছে, সেখানে কথা বলব। আমি অসুস্থ, এ বিষয়ে পরে সরসারি কথা বলব। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও মো.মেজবা উল আলম ভূঁইয়া বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বাড়ি ফিরে গেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগের আলোকে সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।