ইবি শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ, ভিসি বাসভবন ঘেরাও

প্রকাশিতঃ জানুয়ারি ২৯, ২০২৫ | ৯:৩৭ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেক্স

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের হেনস্তা, সমকামিতা প্রমোট ও শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপসহ বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে এক বছরের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটি ও একটি পদোন্নতি বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে কর্তৃপক্ষ। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে বিভাগের শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার সাড়ে ১১টায় স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ করে। পরে উপাচার্যের বাসভবনে অবস্থান করে তারা। প্রায় সাড়ে তিনঘণ্টা অবস্থানের পর প্রশাসনের আশ্বাসে অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করে শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, \'আগামী সিন্ডিকেটে যদি অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তি বর্ধিত করা না হয় এবং রায় ছাত্রদের পক্ষে না থাকে, তাহলে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আমরা দেখবো। আমরা যেসব অভিযোগ দিয়েছি তা সত্য এবং চারশত শিক্ষার্থী মিথ্যাবাদী নয়। তাই সামনে ছাত্রদের পক্ষে রায় না থাকলে, আমরা হার্ডলাইনে যাবো।\' এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান শিক্ষার্থীদের জানান, \' উপাচার্য মহোদয়ের সাথে আমার কথা হয়েছে। তোমাদের প্রশাসনের কাছে অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তিবর্ধিত করতে আবেদন দিতে বলা হয়েছে। যেহেতু সামনে সিন্ডিকেটে বিষয়টি নিশ্চিতকরণ হবে। তোমরা আবেদন দিলে বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা ও পূণর্বিবেচনা করা হবে।\' এর আগে গেল বছরের ৭ অক্টোবর বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ওই শিক্ষকের অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ করে বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পরে তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা লিখিতভাবে ভিসির কাছে অন্তত ২৭টিরও বেশি অভিযোগ তুলে ধরেন এবং মৌখিকভাবে ঘটনার বর্ণনা দেন। অভিযোগ তদন্তে ৮ অক্টোবর পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করে কর্তৃপক্ষ। পরে ওই শিক্ষককে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবিতে কয়েক দফায় আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা। পরে গত ২২শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬৬ তম সিন্ডিকেট সভায় তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেশ করা হয়। রিপোর্ট অনুযায়ী ইবির কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা বিধি মোতাবেক তাঁকে বাৎসরিক একটি ইনক্রিমেন্ট বাতিল করা হয়। পাশাপাশি তাঁকে ২২শে ডিসেম্বর থেকে এক বছরের বাধ্যতামূলক ছুটি প্রদান করা হয়।