শেখ হাসিনাকে ‘বিরত রাখতে’ ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব

প্রকাশিতঃ ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৫ | ৫:৫৫ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেক্স

ভারত থেকে শেখ হাসিনার বক্তব্য-বিবৃতির কারণে গতকাল বুধবার ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুর ও আজ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে বলে দাবি করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। শেখ হাসিনা যাতে বাংলাদেশের বিপক্ষে এ ধরনের বক্তব্য না দেন, তাকে বিরত রাখার জন্য ভারতকে লিখিতভাবে বলা হয়েছে এবং তাদের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব করে তা বলে দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান। বৃহস্পতিবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। রাজধানীর ৩২ নম্বরে আজ ও গতকালের ভাঙচুরের ঘটনা তুলে ধরে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করলে মি. হোসেন বলেন, “ দেখুন প্রথম কয়েক দিনে একটু আইনশৃঙ্খলা সমস্যার পরে আস্তে আস্তে কিন্তু সবকিছু স্ট্যাবিলাইজ করে আসছিলো। আপনারা একটা জিনিস খেয়াল করবেন, এ ধরনের ঘটনা তো তখনেও ঘটতে পারতো। ঘটেনি কিন্তু।” “কিন্তু অবস্থানটা হচ্ছে এরকম যে শেখ হাসিনা ভারতে থেকে যে সমস্ত বক্তৃতা-বিবৃতি দিচ্ছেন সেটাকে ছাত্র-জনতা ভালোভাবে নেয়নি। তিনি অবিরাম প্রোভোক (উসকানি) করতেছেন। তারই ফলশ্রুতিতে এ ঘটনাটা ঘটতেছে বলে আমাদের বিশ্বাস। আর যদি তিনি এ ধরনের ঘটনা থেকে বিরত থাকতেন তাহলে এরকম ঘটনা হয়তো ঘটতো না,” দাবি করেন মি. হোসেন। এ বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে তিনি বলেন, “আপনারা জানেন যে সেনাবাহিনীও কিন্তু সেখানে উপস্থিত রয়েছিলো এবং তারা কনটেইন করতে পেরেছিলো যাতে বাড়াবাড়ি এর চেয়ে বেশি কিছু না হয়। তারা তো যখন শুরু হয়ে গেছে তখন সম্পূর্ণ থামাতে পারেনি। কিন্তু এটা যাতে ছড়িয়ে না পড়ে বা আরও যাতে ক্ষতি না হয় এটা তারা কনটেইন করতে পেরেছিলো।” শেখ হাসিনা যাতে বাংলাদেশের বিপক্ষে এ ধরনের বক্তব্য না দেন, তাকে বিরত রাখার জন্য ভারতকে লিখিতভাবে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “এখনও আমরা জবাব পাইনি। আজ আবারও তাদেরকে আমরা গত কয়েক দিনের পরিস্থিতির জন্য প্রোটেস্ট নোট দিয়েছি। হাইকমিশনার এখন নেই, তাই অ্যাকটিং হাইকমিশনারকে ডেকে এ ধরনের প্রোভোক করার প্র্যাকটিসটা বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করেছি।” পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক প্রশ্নে মি. হোসেন বলেন, “পাকিস্তানের সাথে আমাদের সম্পর্ক এগিয়ে নেয়ার কাজটা, আমরা দাঁড়িয়ে থাকলে তাদেরও কোনো লাভ নেই, আমাদেরও কোনো লাভ নেই। আমরা নিশ্চয়ই আমাদের স্বার্থ রক্ষা করার চেষ্টা করবো। পাশাপাশি আমরা চাইবো যে পাকিস্তানের সাথে সম্পর্কটা আমরা আরেকটি দেশের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক হিসেবে দেখতে চাই, নিয়ে যেতে চাই।” পাকিস্তানের সাথে জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে উল্লেখ করে মি. হোসেন বলেন, “এটার পজিটিভ বেনিফিটস আছে। আমরা চেষ্টা করবো আমাদের সর্বোচ্চ বেনিফিট যাতে আদায় করতে পারি”।