বগুড়ায় ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ

প্রকাশিতঃ ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৫ | ৫:৫৬ অপরাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেক্স

বগুড়ায় ব্যবসায়ীকে মারধরের প্রতিবাদে যুবদল নেতা ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে ব্যবসায়ীরা। এর প্রতিবাদে যুবদল নেতার পক্ষেও পাল্টা মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এবং বিকেল ৪টার দিকে শহরের শেরপুর সড়কের কানুছগাড়ি এলাকায় পক্ষে-বিপক্ষে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। কানুছগাড়ি বণিক সমিতির সাবেক উপদেষ্টা জোবায়ের হাসান বলেন, দেড় বছর আগে কানুছগাড়ি বণিক সমিতির কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। এ কারণে ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করে কমিটি গঠনের বিষয়ে আগামী বুধবার সভা আহ্বান করা হয়। এজন্য রবিবার বিকেলে ব্যবসায়ীদের অবগতি করতে প্রত্যেকের দোকানে চিঠি দেওয়া হয়। এদিন সন্ধ্যার পর যুবদল নেতা কামরুল হাসান ঝিনুক ও তার বড় ভাই জিলহজ্জ উদ্দিন কাঞ্চন ফার্নিচার ব্যবসায়ী আবুল কালামের দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর এবং মারধর করে। জোবায়ের হোসেন বলেন, ঝিনুকের বড় ভাই জিলহজ্জ উদ্দিন কাঞ্চন কানুছগাড়ি বণিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তাকে না জানিয়ে আবুল কালাম আজাদের ইন্ধনে আগামী বুধবার বণিক সমিতির সভা আহ্বান করায় তার উপর চড়াও হয়। তিনি বলেন, কাঞ্চন এবং ঝিনুক এর আগেও বেশ কয়েকবার ব্যবসায়ীদের মারধর করেছে। ঝিনুক নবগঠিত জেলা যুবদলের সদস্য পদ পাওয়ার পর তারা দুই ভাই আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। বগুড়া জেলা যুবদলের সদস্য কামরুল হাসান ঝিনুক বলেন, আমাকে বিতর্কিত করতে জোবায়ের হাসান চক্রান্ত শুরু করেছেন। আমার বড় ভাই কাঞ্চন এখন কানুছগাড়ি বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক। তাকে না জানিয়ে জোবায়ের হাসান ও আবুল কালাম আজাদ বণিক সমিতির সভা ডাকতে পারে না। এ বিষয়টি নিয়ে জানতে আমার বড় ভাই আবুল কালাম আজাদের দোকানে যায়। সেসময় আমি উপস্থিত ছিলাম না। অথচ আমাকে জড়িয়ে মানববন্ধন করা হয়। এদিকে, বিকেলে যুবদল নেতা কামরুল হাসান ঝিনুকের বিরুদ্ধে চক্রান্তের প্রতিবাদে শেরপুর সড়কের কানুছগাড়ি এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে স্থানীয় ব্যবসায়ী ছাড়াও এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন। বনানী পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বলেন, মারধরের ঘটনায় লিখিত কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। আমরা বিষয়টি শুনেছি।