অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এক উপদেষ্টার নাম ব্যবহার করে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার জমি দখলের চেষ্টা ও স্থানীয় একটি পত্রিকা অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। শহরের আলোচিত সন্ত্রাসী রিন্টু তার বাহিনী নিয়ে এ হামলা চালায়।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১১ টায় ফতুল্লার চাঁনমারি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে ঐ সন্ত্রাসী বাহিনী পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওই জমিতে প্রবেশ করে নিরাপত্তাকর্মীদের মারধর করে গোডাউন ভাঙচুর করে। এসময় তারা সিসি ক্যামেরা ও সাইনবোর্ড ভেঙ্গে ফেলে। প্রায় দুই শতাধিক সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ওই জমিতে হামলা করে। এসময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জমির মালিক তাইজুল ইসলাম রাজীব জানান, এ জমিটি প্রায় তিন দশক আগে আমার বাবা জমিটি কিনেছে। এরপর থেকেই জমিটি আমরা ভোগ দখল করে আসছি। বুধবার সকালে এক উপদেষ্টার ভাগ্নে পরিচয়ে রিন্টু বাহিনী আমাদের জমি দখল করতে আসে। প্রায় দুই শতাধিক সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের জমিতে সাইনবোর্ড লাগাতে আসে। এসময় তারা আমার জমির নিরাপত্তাকর্মীকে মারধর করে। সিসি ক্যামেরা ও স্থানীয় দৈনিক উজ্জীবিত বাংলাদেশ পত্রিকার সাইনবোর্ড ভাঙচুর করে। তারা জমিটির ভেতরে ভাড়া দেয়া গোডাউন এর তালা ভেঙ্গে ভাড়াটিয়াদের মালও লুট করে।
তিনি আরো জানান, এক ব্যবসায়ী নেতা গতকাল আমাদের এক প্রতিনিধিকে ফোন করেছিলেন। জমিটি নিয়ে এক উপদেষ্টার স্বামী তাকে ফোন দিয়েছিল বলে তিনি জানিয়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে আমাদের সাথে বসতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার আগেই আজ সকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় আইনি প্রদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
ওই জমিতে অবস্থিত স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক উজ্জীবিত বাংলাদেশ এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কবিরুল ইসলাম জানান, জমি নিয়ে বিরোধ থাকলে আইন আদালত আছে। কিন্তু তারা অন্যায়ভাবে জমিতে প্রবেশ করে ভাঙচুর বা লুটপাট করতে পারে না। আমার অফিসের সাইনবোর্ড ও সিসি ক্যামেরা ভেঙ্গেছে। নিরাপত্তাকর্মীকে মারধর করেছে।
ফতুল্লার মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আতিক জানান, একদল বাহিনী এখানে জায়গা দখল করতে আসে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসা হয়। যারা দখল করতে এসেছে যা কিনা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের শামিল এ ব্যাপারে আইনি প্রতক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, জমি দখল করতে গিয়ে পত্রিকা অফিসে হামলার খবর শুনে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। উভয় পক্ষকে ডাকা হয়েছে। উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।