কুষ্টিয়ায় ‘বালিভর্তি শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ট্রলি’র ধাক্কায় স্কুল ছাত্র নিহতের ঘটনায় এলাকাবাসী ট্রলিটি পুড়িয়ে দিয়ে মহাসড়কে বিক্ষোভ করেছে।
আজ রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শহরের প্রতীতি বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিক্ষার্থীর নাম ইব্রাহিম হোসেন। সে ওই স্কুলের প্লে গ্রুপের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল মোড় এলাকায়। বাবার নাম মোহাম্মদ সোনা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বালুভর্তি ট্রলিটি শহরের মজমপুর গেটের দিক থেকে আসছিল। স্কুলের সামনেই তার দাদী আনোয়ারার (৫০) সাথে রাস্তা পাড় হয়ে স্কুলে আসছিল ইব্রাহিম। এসময় গাড়ির ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই শিশুটি মারা যায়। তার দাদী আনোয়ারা গুরুতর আহত হন।
দুর্ঘটনার পরপরই কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন স্কুল শিক্ষার্থীরা। তাদের সাথে যোগদেন উপস্থিত অভিভাবক ও এলাকাবাসী। এক পর্যায়ে তারা ট্রলিটিতে আগুন দেন।
এসময় বন্ধ হয়ে যায় সড়কে যানচলাচল।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেহাবুর রহমান জানান, লাশ স্কুল থেকে উদ্ধার করে নিয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি জানান, এক ঘন্টা পর মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, সদর উপজেলা সহকারী ভূমি কর্মকর্তা রিফাতুল ইসলাম।
তিনি জানান, এসব যানবাহন অবৈধ। সড়কে চলাচল করার অনুমতি নেই।
এদিকে, মহাসড়ক ঘেঁষে এ ধরনের স্কুলের কাঠামো নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। প্রতীতি স্কুলটি একেবারেই কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কের সাথে অবস্থিত। একই এলাকার সজীব আলী জানান, প্রতিদিনই স্কুল পার হতে বাচ্চাদের ঝুঁকি নিতে হয়। এ দিকে খেয়াল দেয়া দরকার বলে তিনি মনে করেন।