ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিতঃ ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৫ | ৮:১৭ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেক্স

“সংঘাত নয়, শান্তি ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ি”প্রতিপাদ্যের আলোকে রাজাপুর উপজেলায় ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ বৃহস্পতিবার সকাল ১০.৩০ মিনিটে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ ও এমআইপিএস প্রকেল্পের সহযোগিতায় রাজাপুর পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ (পিএফজি) এর উদ্যোগে আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমে জাতীয় সঙ্গীত, পবিত্র কোরান থেকে তেলাওয়াত এবং পবিত্র গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। রাজাপুর পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ (পিএফজি) এর সমন্বয়কারী সৈয়দ হোসাইন আহমেদ এর সভাপতিত্বে এবং দি হাঙ্গার প্রজেক্টের এমআইপিএস প্রকল্পের এরিয়া কো-অর্ডিনেটর এস এম রাজু জবেদ এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব রাহুল চন্দ এবং বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাজাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব ইসমাইল হোসেন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা উম্মে আয়শা সিদ্দিকা। এছাড়া্ও উপস্থিত ছিলেন রাজাপুর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আসাদ্দুজামান পনির, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক তরিকুল ইসলাম, পিএফজি আ্যম্বাসেডর জাতীয় পার্টির সভাপতি কামরুল ইসলাম দুলাল, পিএফজি আ্যম্বাসেডর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাজাপুর শাখার সহ সভাপতি মো: আল আমিন রুম্মান, রাজাপুর ইমাম সমিতির সহ সভাপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুল হাই, পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গোপাল কর্মকার, রাজাপুর পুরোহিত কমিটির সহ সভাপতি কঞ্জন কান্তি চক্রবর্তী, পিএফজি সদস্য ও মাস্টার বাড়ী জামে মাসজিদের ইমাম মওলানা আবু হানিফ, সাংবাদিক মোঃ আলমগীর শরীফ, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এবং ইয়ুথ পিস এম্বাসেডর গ্রুপের যুগ্ম সমন্বয়কারী আল আমিন এবং ইয়ুথ পিস এম্বাসেডর গ্রুপের যুগ্ম সমন্বয়কারী সানজিদা আক্তার। সংলাপে বক্তারা বলেন শান্তি ও সম্প্রীতির রাজাপুর বিনির্মানই আমাদের লক্ষ্য। বাংলাদেশে বিভিন্ন ধর্ম,বর্ণ ও গোত্রের মানুষের বসবাস। ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশ। ধর্মীয় সম্প্রীতির কোন বিকল্প নাই। ধর্ম কখোনই অশান্তি তৈরী করে না। আমাদের সংবিধানে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। সকল ধর্মের নাগরিক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মধ্যে দিয়ে এ দেশে বাস করে। ধর্মীয় সহিংসতা যে কোন দেশের উন্নয়নে বাঁধার প্রধান কারণ। দেশকে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছেতে জাতি, ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে একযোগে কাজ করতে হবে। পরিশেষে উপজেলার আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষার্থে সর্বসম্মতিক্রমে ১১ টি ঘোষণা সম্বলিত ঘোষণাপত্রে উপস্থিত অংশগ্রহণকারীগণ স্বাক্ষর করেন