অবকাঠামো উন্নয়নে জাপানের অব্যাহত সহায়তা চায় বাংলাদেশ

প্রকাশিতঃ মার্চ ১১, ২০২৫ | ১০:১৫ অপরাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেক্স

টেকসই সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরে বাংলাদেশ দৃঢ় আশা প্রকাশ করেছে যে, জাপান বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রচেষ্টায় তাদের মূল্যবান সহায়তা অব্যাহত রাখবে। মঙ্গলবার জাপান থেকে এক বার্তায় বলা হয়েছে, আজ (১১ মার্চ) টোকিওতে অনুষ্ঠিত ৭ম বাংলাদেশ-জাপান যৌথ পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) সভায় এই আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া। জাপানের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন ভূমি, অবকাঠামো ও পরিবহণ উপমন্ত্রী হিরোফুমি আমাকাওয়া এবং প্রকৌশল ও গৃহায়ন বিষয়ক সহকারী উপমন্ত্রী ইয়োসুকে সুতসুমি। বৈঠকে মূলত জাপানের সহায়তায় বাস্তবায়নে চলমান প্রকল্পগুলোর অগ্রগতির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আলোচিত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, চট্টগ্রাম পয়ঃনিষ্কাশন প্রকল্প, স্থানীয় সেতু উন্নয়ন প্রকল্প এবং কমলাপুর মাল্টি-মডেল ট্রান্সপোর্ট হাব প্রকল্প। সিরাজ উদ্দিন মিয়া আশাবাদ ব্যক্ত করেন, জাপানের অব্যাহত সহায়তায় এসব প্রকল্প সফল সমাপ্ত হলে বাংলাদেশের অর্থনীতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি সাধন করবে। তিনি বিভিন্ন ক্ষেত্রে, বিশেষ করে অবকাঠামোগত উন্নয়নে দীর্ঘস্থায়ী সহায়তার জন্য জাপান সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং গুরুত্বপূর্ণ এসব সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। সিরাজ উদ্দিন মিয়া বলেন, এই প্রকল্পগুলোর সফল বাস্তবায়ন বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং ঢাকা এই প্রকল্পগুলোকে বাস্তবে রূপ দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সভায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের সিনিয়র সচিব, বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন সচিব, রেলপথ সচিব, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং চট্টগ্রাম ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তাদের নিজ নিজ প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে আপডেট তথ্য প্রদান করে পৃথকভাবে উপস্থাপনা করেন। জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ দাউদ আলী এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি আলোচনায় যোগ দেন। এই অধিবেশনের মূল বিষয় ছিল জাপানি সহায়তায় ভবিষ্যতে গ্রহণযোগ্য সম্ভাব্য প্রকল্পগুলো চিহ্নিত করা এবং এগুলোর জন্য প্রস্তাবনা প্রস্তুত করা। আলোচনাকালে টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।