তিস্তা সেচ প্রকল্পের প্রধান ক্যানেলের পানিতে প্রায় ৩০ বছর ধরে অক্ষত রয়েছে শতবর্ষী কবর। ক্যানেল খোঁড়ার সময় কবরটির কাছে এসে ড্রেজারের স্টার্ট বন্ধ হয়। সেই থেকে রহস্যঘন কবরটি ঘিরে নানান জল্পনা-কল্পনা দেখা দেয়। কবরটির অস্তিত্ব কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের তিস্তা ক্যানেলের সিট রাজিব গ্রামে।
জানা যায়, ওই গ্রামে দেবার হাজি নামে একজন ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি ছিলেন। তিনি হেঁটে হজ করেন। প্রায় ১শ বছর আগে তিনি মারা যান। বাড়ির পাশেই তাকে দাফন করা হয়। তার কবর নিয়ে তৈরি হয়েছে রহস্য।
তিস্তা সেচ প্রকল্পের জন্য তার কবরস্থানসহ জমি অধিগ্রহণ করে নেয়। ১৯৯৫ সালে ড্রেজার দিয়ে ক্যানেল খোঁড়ার সময় কবরের কাছে স্টার্ট বন্ধ হয়। পরে ড্রেজারের চালক একাধিকবার ব্যর্থ হয়ে কবরটি অক্ষত রেখে আশ-পাশের মাটি সরিয়ে নেন।
পরে জনৈক ব্যক্তি কবরের চারপাশে লাল ফ্ল্যাগ দেয়। ক্যানেলে পানি ভরাট হলে কবরটি বিলীনের ধারণা করা হয়। কিন্তু থৈ-থৈ পানিতে কবরটি অক্ষত থাকায় রহস্যের জন্ম দেয়।
সিট রাজিব গ্রামের রাশেদ, জামান ও দেবার হাজির নাতি আমিনুর জানান, কবরটিকে সংরক্ষণের জন্য ক্যানেলে পানি ছাড়ার অনেক বছর পরে ইট দিয়ে চারপাশে গেঁথে রাখা হয়। এখন ক্যানেলে পানি বেশি হওয়ায় ঘাস ও কচুর পাতা কবরটির অস্তিত্ব জানান দেয়। পানি কমে গেলে কবরটি যে এখনো অক্ষত রয়েছে তা দেখা যায়। পানির মাঝে দীর্ঘ দিন ধরে অক্ষত কবর দেখে মানুষের মাঝে কৌতূহল বৃদ্ধি পায়।
কিশোরগঞ্জ সদর ইউপি চেয়ারম্যান হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ওরফে গেনেট বাবু জানান, ওই কবরটি একজন দ্বীনদার-ধর্মপ্রাণ হাজি মানুষের কবর বলে জেনেছি। তিনি হেঁটে হজ করেছেন। ক্যানেল খোঁড়ার সময় কবরটি সরাতে গিয়ে ড্রেজার আটকে গিয়েছিল। পরবর্তীতে জনৈক এক ব্যক্তি কবরের চার পাশে লাল শালু দিয়ে দান-মান্নত নেওয়ার ব্যবস্থা করছিলেন। পরে আমরা জনপ্রতিনিধিরা তাকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দিয়েছি।