সারাদেশের মতো নওগাঁর নিয়ামতপুরেও আনন্দঘন উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হয়েছে দোল উৎসব। হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব এটি, যা হোলি উৎসব নামেও পরিচিত।
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, শ্রীকৃষ্ণ বৃন্দাবনে রাধিকা ও তাঁর সখীদের সঙ্গে আবির খেলেছিলেন, সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই দোল খেলার প্রচলন শুরু হয়। এই দিন রাধা-কৃষ্ণের বিগ্রহ আবিরে রাঙিয়ে দোলায় চড়িয়ে নগরকীর্তনে বের হওয়ার প্রথা রয়েছে। ভক্তরা রং ও আবির খেলায় মেতে ওঠেন, যা সময়ের বিবর্তনে পুষ্পরেণুর পরিবর্তে রঙিন আবিরের রূপ ধারণ করেছে।
শুক্রবার সকালে নিয়ামতপুর উপজেলার ভাবিচা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ছোট-বড় সবাই আবির মেখে উৎসবে মেতে উঠেছে। কেউ পাঁচ থেকে দশজনের দল তৈরি করে রাধা-কৃষ্ণ সাজিয়ে সারা গ্রামে ঘুরছেন। তাদের গায়ে, গালে ও মুখে লাল, নীল, সবুজ, হলুদ নানা রঙের আবির লেগে আছে, যা উৎসবের প্রাণবন্ত দৃশ্য সৃষ্টি করেছে।
দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী বন্ধন প্রামাণিক বলেন, আমরা পাঁচজন মিলে একটি দল তৈরি করে আবির নিয়ে সারা গ্রাম ঘুরে বেড়াচ্ছি। খুব আনন্দ লাগছে।
একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী অপু প্রামাণিক বলেন, আমরা বিশজনের একটি দল করেছি। গ্রামে প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে সবার গায়ে আবির মাখিয়ে দিচ্ছি। সবাই খুব আনন্দ করছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মানিক মণ্ডল (৪০) জানান, আমাদের গ্রামে অনেক বছর ধরে দোল উৎসব পালন করা হচ্ছে। আমরা দশজনের একটি দল করে রাধা-কৃষ্ণ সাজিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরছি, সঙ্গে খোল-করতালের বাদ্য-বাজনাও বাজাচ্ছি। পুরো গ্রামজুড়ে এক আনন্দঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
দোল উৎসবের এ আনন্দে মেতে উঠেছে নিয়ামতপুরের বিভিন্ন এলাকা। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলে উৎসবে শামিল হয়ে সম্প্রীতির এক অনন্য নজির সৃষ্টি করেছে।