রাজধানীর বনানী এলাকায় লাঠি দিয়ে বেশ কয়েকজনকে মারধর করেছেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকরা। রিকশা চালানোর দাবিতে তারা কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করছেন।
এ সময় গুলশান লেকে প্যাডেলচালিত দুটি রিকশা ফেলে দেন আন্দোলনকারীরা। সোমবার দুপুরের দিকে বিক্ষুব্ধ ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকেরা এই কাজ করেন।
একটি রিকশা ফেলে দেওয়া হয়েছে বনানী ১১ নম্বর ব্রিজ থেকে। আরেক রিকশা ফেলে দেওয়া হয়েছে ব্রিজের পাশ থেকে।
বিক্ষুব্ধ ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকেরা বলছিলেন, তারা ব্যাটারিচালিত রিকশা চালাতে না পারলে অন্যরাও (প্যাডেলচালিত রিকশা) চালাতে পারবেন না। তাই তারা প্যাডেলচালিত দুটি রিকশা গুলশান লেকে ফেলে দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকেরা ব্রিজের ওপর অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছিলেন। তারা প্যাডেলচালিত রিকশা চলাচলে বাধা দিচ্ছিলেন। একপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সরিয়ে দেন।
বনানী থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন আগে গুলশান সোসাইটি ঘোষণা করে ওই এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করতে পারবে না। কিন্তু সোসাইটির এ সিদ্ধান্ত মেনে নেননি রিকশাচালকরা। তারা গত কয়েকদিন ধরে গুলশানের বিভিন্ন এলাকায় রিকশা চালানোর দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন।
আজ সোসাইটির লোকজন গুলশানের শেষ মাথায় এবং বনানী এলাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আটক করছিল। এতে চালকরা ক্ষুব্ধ হয়ে যান। তারা বনানী ১১ নম্বর এলাকায় আন্দোলন শুরু করেন। এসময় যারা আন্দোলনের ছবি ও ভিডিও তুলতে আসেন তাদের লাঠিপেটা করেন তারা।
স্থানীয়রা জানান, এখন পর্যন্ত ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকরা দুই থেকে তিনজন মোটরসাইকেল চালককে লাঠি দিয়ে পিটিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন।
বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদী হাসান জানান, ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকরা বর্তমানে বনানী ১১ নম্বর রোডে অবস্থান করছেন। পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তবে আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি।