নওগাঁর আত্রাইয়ে প্রধান শিক্ষকের নিকট চাঁদা দাবী করেছে দুর্বৃত্তরা এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ক্ষোভে ফুসে উঠেছে বিদ্যালয়ে অধ্যায়ণরত সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ঘটনা এবং অভিযোগের প্রায় দু
সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও দৃশ্যমান কোন আইনি ব্যাবস্থা না হওয়ায় জনমনে বেড়েছে ক্ষোভ।
বিষয়টি প্রকাশ হবার পর রবিবার ৪মে সকালে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাস বর্জন করে দুর্বৃত্তদের বিচার দাবীতে ভবানীপুর বাজার এলাকা সহ ঘন্টা ব্যাপী বিচার এবং দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবীতে প্লেকার্ড হাতে মিছিল করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী সহ ৯ দফা দাবী তুলে ধরেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক মো.মাহবুবুর রহমান জানান গত ২৩ এপ্রিল আনুমানিক বেলা পৌনে দুইটার দিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে প্রবেশ করেন, ফজলুল করিম,মোজাহার সরদার,হাবিবুর এরা তিন জন।প্রবেশের পরে দরজা বন্ধ করে দেয় অভিযুক্ত ফজলুল করিম, মোবাইল হাতে ভিডিও করেন হাবিবুর এবং টেবিল চাপরিয়ে হুমকি প্রর্দশন করেন মোজাহার এবং কোন এক নির্দিষ্ট প্রকাশনীর গাইড বই শিক্ষার্থীদের পাঠ্য বই হিসাবে ব্যাধতামূলক করার অনুমতি দিয়ে সেই প্রকাশনীর এর প্রতিনিধির কাছে ১ লক্ষ টাকা নিয়েছি এমন বয়ান নেবার জন্য বিভিন্ন ভাবে অকথ্য ভাষায় গালি এবং হুমকি প্রদান করতে থাকে প্রায় ঘন্টা ব্যাপী,এর এক পর্যায়ে আমার ব্যাবহত ফোন কেড়ে নেয়, সে সময় ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করেন। এবং সর্বশেষ ৫ হাজার নগদ টাকা আমার নিকট হইতে গ্রহন করে এবং বলে আরো ৪৫ হাজার টাকা দিতে হবে এবং এবিষয়ে কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দিয়ে বেরিয়ে যায়। এমতাবস্থায় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি সহ গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ কে অবগত করে আত্রাই থানায় তাদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছি । এবিষয়ে আত্রাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অবগত আছেন বলে ও জানান প্রধান শিক্ষক।
এ বিষয়ে
আত্রাই থানার ওসি শাহাবুদ্দিন জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে।পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভ মিছিল সম্পর্কে বলেন,আমি শুনেছি ঐ স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।