জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) জানিয়েছে, তারা ইরানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছে, ইসরাইলের হামলায় ইস্পাহান শহরের পারমাণবিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, ফোরদো-তে অবস্থিত একটি পরমাণু জ্বালানি সমৃদ্ধকরণ প্ল্যান্টও এখন পর্যন্ত অক্ষত রয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরাইলি যুদ্ধবিমান আজ শুক্রবার ভোরে হামলায় নাতানজ শহরের পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা বর্ষণ করলেও, আইএইএ বলেছে, বর্তমানে ওই স্থানে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ মাত্রার কোনো বৃদ্ধি হয়নি।
সংস্থাটি নিশ্চিত করেছে, বুশেহর-এর একটি পারমাণবিক কেন্দ্রও হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
তবে এসব পারমাণবিক স্থাপন ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও ইসরাইলের সামরিক হামলায় তেহরানের ৬ পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হয়ে বলে জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম তাসনিম নিউজ।
নিহত ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানীদের মধ্যে রয়েছেন-আব্দুলহামিদ মিনুচেহর, আহমদ রেজা জোলফাকারি, সৈয়দ আমির হোসেন ফেকহি, মাতলাবিজাদেহ, মোহাম্মদ মাহদি তেহরানচি এবং ফেরেইদুন আব্বাসি।
এর মধ্যে, নিহত পরমাণু বিজ্ঞানীদের মধ্যে ফেকহি তেহরানের শহীদ বেহেশতি বিশ্ববিদ্যালয়ের পারমাণবিক প্রকৌশল অনুষদের সদস্য ছিলেন। এছাড়া তিনি ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার উপ-প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এছাড়া ইসরাইলের এই ভয়াবহ বিমান হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ হোসেন বাকেরি, ইসলামিক রেভোলিউশন গার্ড কর্পসের কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেন সালামি এবং ইরানের খাতাম আল-আম্বিয়া কেন্দ্রীয় সদর দপ্তরের কমান্ডার মেজর জেনারেল গোলাম আলী রশিদ নিহত হয়েছেন।
এমন পরিস্থিতিতে ইসলামী বিপ্লবের নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেয়ী ইহুদিবাদী সরকারকে কঠোর পরিণতি ভোগ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এই অপরাধের জন্য ইহুদিবাদী সরকার নিজেদের জন্য একটি তিক্ত ও বেদনাদায়ক পরিণতি ডেকে এনেছে, যা তারা অবশ্যই দেখতে পাবে।’