বগুড়ার শেরপুরে স্ত্রী-স্বামীর মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় মজিবর শেখ (৬৫) নামে এক ঘটককে গাছে বেঁধে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে তিনি শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রবিবার (১৯ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের সূত্রাপুর গোয়ালপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী মজিবর শেখ ওমরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় তার ভাই নজরুল শেখ চারজনের বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজিদ হাসান সিদ্দিকী জানান, “রবিবার রাতে মজিবর শেখকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তার শরীরে আঘাতের একাধিক চিহ্ন রয়েছে।”
জানা গেছে, ৯ জুন সূত্রাপুর গ্রামের জহুরুল ইসলামের মেয়ে সুমাইয়া খাতুন (২১) ও শাজাহানপুর উপজেলার ঘাসুরিয়া গ্রামের মো. মুন্নার (২৮) বিয়ে হয়। ঘটকালি করেছিলেন মজিবর শেখ। বিয়ের দিনই কনেকে নিয়ে যান বর ও তার পরিবার।
ঘটনার বিষয়ে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে মজিবর শেখ সাংবাদিকদের জানান, “রবিবার সন্ধ্যায় কনের বাবা জহুরুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যরা আমাকে বাড়িতে ডেকে নেন। সেখানে তারা বলেন, বিয়ের পর মেয়ে-জামাইয়ের মধ্যে বনিবনা হচ্ছে না। পরে তারা আমাকে একটি গাছে বেঁধে এক ঘণ্টা ধরে লাঠি দিয়ে হাতে-পায়ে ও মাথায় মারধর করেন। পরে আমার ভাই এসে আমাকে উদ্ধার করেন।”
এ বিষয়ে কনের বাবা জহুরুল ইসলাম বলেন, “বিয়ের দুই দিন পর থেকেই মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন খারাপ ব্যবহার শুরু করে। ঘটক মজিবর শেখ আমাদের জানিয়ে ছিলেন ছেলের পরিবার খুব ভালো। সেই ক্ষোভ থেকেই তাকে ডেকে এনে একটু মারধর করা হয়েছে।”
অন্যদিকে, মজিবরের ছেলে সোনাউল্লাহ শেখ বলেন, “আমার বাবা পেশাদার ঘটক নন। টাকা নিয়ে ঘটকালিও করেন না। উপহারের কথা বলে তাকে ডেকে এনে যেভাবে নির্যাতন করা হয়েছে, তা অমানবিক।”
শেরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তোফাজ্জল হোসেন বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে মারধরের সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”