আগাম নির্বাচনের দাবিতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল সার্বিয়া। দেশটির প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার ভুচিচের পদত্যাগের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে রাজধানী বেলগ্রেডের রাস্তায় নেমে এসেছেন লাখ লাখ মানুষ।
গত শনিবার (২৮ জুন) শুরু হয় সরকারবিরোধী এই বিক্ষোভ। এই বিক্ষোভ গত ছয় মাস ধরে চলে আসা সম্প্রসারিত আন্দোলনের অংশ। যা গত নভেম্বরে এক ট্রেন স্টেশনের ছাদ ধসে ১৬ জন নিহতের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে শুরু হয়।
প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার ভুচিচের পদত্যাগের দাবিতে জনসমুদ্রে পরিণত হয় রাজধানী বেলগ্রেডের স্লাভিয়া স্কয়ার। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন মতে, এদিন প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার বিক্ষোভকারী সমাবেশে অংশ নেন। ১২ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা ভুচিচের সরকারকে ‘ফ্যাসিবাদী’ অভিহিত করে এর অবসান চান তারা।
তানজানিয়ায় সংঘর্ষে বাস পুড়ে ৪০ জনের মৃত্যু
শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে এই আন্দোলনে নেমে আসেন সাধারণ নাগরিকরাও। এ সময় ভুচিচের বিরুদ্ধে জোর করে ক্ষমতা আকড়ে রাখার অভিযোগ তুলে অবিলম্বে আগাম নির্বাচন দেয়ার দাবি জানান বিক্ষুব্ধরা।
যদিও প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা ভুচিচ আগাম নির্বাচনের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন। ২৫০ আসনের পার্লামেন্টে তার জোটের দখল রয়েছে ১৫৬টি আসনে। তবে লাগাতার আন্দোলনে নড়বড়ে হয়ে উঠছে ভুচিচের জনপ্রিয়তার ভিত।
বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে একজন বলছিলেন, আজ আমরা এখানে এসেছি সার্বিয়াকে বদলাতে। এই সরকারকে বিদায় জানিয়ে নতুন নির্বাচনের দিকে যেতে।যেভাবেই হোক, সেই নির্বাচন হোক। এরপর শুরু হবে আরেক যুদ্ধ, সে যুদ্ধ আর রাস্তায় নয়, এবার হবে ব্যালট বাক্সে। আরেকজন বলেন, আমরা এসেছি শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে। পুরো শক্তি, সাহস আর মন-প্রাণ দিয়ে আমরা তাদের জন্য আছি, তাদের পাশে আছি।
তবে পুলিশ বিশাল এই আন্দোলন ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। ফলে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আন্দোলনকারীদের দমাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোঁড়ে আন্দোলনকারীরা। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। আটক করা হয় আরও বেশ কয়েকজনকে।