মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, তিনি আমদানিকৃত তামার ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন। তাছাড়া খুব শিগগির ওষুধ ও সেমিকন্ডাক্টরের ওপর বহুদিন ধরে হুমকি দেওয়া শুল্ক কার্যকর করবেন। ফলে বাণিজ্যযুদ্ধ আরও বিস্তৃত হলো, যা এরই মধ্যে বৈশ্বিক বাজারকে কাঁপিয়ে দিয়েছে।
সোমবার তিনি দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানসহ ১৪টি প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদারের ওপর শুল্ক আরোপের একদিন পর এই ঘোষণা দিলেন। পাশাপাশি তিনি আবারও ব্রাজিল, ভারত ও অন্যান্য ব্রিকস সদস্য দেশের পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপের হুমকি দেন।
ট্রাম্প বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও চীনের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা ভালোভাবেই চলছে, তবে ইউ-র জন্য একটি শুল্ক নোটিশ পাঠাতে তিনি মাত্র কয়েকদিন দূরে রয়েছেন।
হোয়াইট হাউজে একটি মন্ত্রিসভার বৈঠকে দেওয়া তার বক্তব্যের ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে নতুন করে অস্থিরতা তৈরি হতে পারে। কারণ বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভোক্তা বাজারে তার আরোপিত বা হুমকির শুল্কগুলো এরই মধ্যে প্রভাব ফেলছে।
ট্রাম্পের ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্রে তামার ফিউচার মূল্য ১০ শতাংশের বেশি বেড়ে যায়। তামা হচ্ছে বৈদ্যুতিক গাড়ি, সামরিক সরঞ্জাম, পাওয়ার গ্রিড এবং বহু ভোক্তা পণ্যে ব্যবহৃত একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাতু। বর্তমানে স্টিল, অ্যালুমিনিয়াম এবং গাড়ি আমদানির ওপর শুল্ক রয়েছে, তবে কপার শুল্ক কবে কার্যকর হবে তা পরিষ্কার নয়।
অন্যদিকে আমদানিকৃত ওষুধের ওপর ২০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুমকিতে মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোর শেয়ারপতন হয়। ট্রাম্প বলেন, এই শুল্ক এক বছরের জন্য মুলতবি রাখা হতে পারে।
বিভিন্ন দেশ বলছে, শুল্ক ইস্যুতে ট্রাম্প বুধবার পর্যন্ত সময় দিলেও এখন ১ আগস্ট পর্যন্ত সময় পাওয়া যাবে। তারা এই শুল্কের প্রভাব কমাতে কাজ করছে।
ট্রাম্পের প্রশাসন এপ্রিলে দেশভিত্তিক শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়ে বলেছিল, ‘৯০ দিনে ৯০টি চুক্তি’ হবে। তবে এখন পর্যন্ত কেবল যুক্তরাজ্য ও ভিয়েতনামের সঙ্গে দুটি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। ভারতের সঙ্গে একটি চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলেও জানান তিনি।
ট্রাম্প বলেন, এতদিন আমেরিকাকে সবাই ঠকিয়ে এসেছে, পেছনে হাসাহাসি করেছে। এবার আমরাও অর্থ তুলতে শুরু করবো।
তিনি আরও জানান, বুধবার সকালে অন্তত সাতটি শুল্ক নোটিশ প্রকাশ করা হবে এবং বিকেলে আরও কিছু আসবে।