গাজার উত্তরে ত্রাণের জন্য অপেক্ষায় থাকা অন্তত ৬৭ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গতকাল রোবববার জাতিসংঘের ত্রাণবাহী ট্রাকের জন্য অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্বিচার গুলি চালানো হয়। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অনেকে। এ ছাড়া গাজার দক্ষিণে আরেকটি ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রের কাছে অন্তত ৬ জন নিহতের তথ্য জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সাম্প্রতিক সময়ে ত্রাণ নিতে গিয়ে ফিলিস্তিনিদের হতাহতের ঘটনা বাড়ছে। এর আগে শনিবার ত্রাণ নিতে গিয়ে হামলায় অন্তত ৩৬ জন নিহত হন।
ইসরায়েলি বাহিনী বলছে, রোববার গাজার উত্তরে কয়েক হাজার মানুষের ভিড়ের কারণে তাদের সেনারা সতর্কতামূলক গুলি ছোড়ে। প্রাথমিকভাবে যা হতাহতের সংখ্যা বলা হচ্ছে, তা অতিরঞ্জিত হতে পারে। ইসরায়েলি বাহিনী আরও বলেছে, ‘ইসরায়েল কখনোই ইচ্ছাকৃতভাবে মানবিক সহায়তা বহনকারী ট্রাককে লক্ষ্যবস্তু বানায় না।’
এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানায়, গাজায় প্রবেশের পরপরই তাদের ২৫টি খাদ্যবাহী ট্রাকের একটি বহর ‘ক্ষুধার্ত মানুষের বিশাল ভিড়ের’ মধ্যে পড়ে। তাদের ওপর গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। ত্রাণের জন্য অপেক্ষমাণ সাধারণ মানুষের ওপর যেকোনো ধরনের সহিংসতা পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য বলেও উল্লেখ করে ডব্লিউএফপি।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, গাজায় বাড়তে থাকা মৃত্যুর সংখ্যা ও চরম খাদ্য সংকটের বিষয়ে ক্ষুব্ধ তাদের সংগঠন। এমন পরিস্থিতির কারণে কাতারে চলমান যুদ্ধবিরতি আলোচনা ব্যাহত হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন ওই হামাস কর্মকর্তা।
এদিকে গাজা থেকে নতুন করে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল। যেসব এলাকায় বিপুলসংখ্যক মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন, সেসব স্থান থেকে তাদের সরে যেতে বলা হয়েছে।