কুমিল্লার তিতাস উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের পাবলিক টয়লেট ভেঙে সাবরেজিস্টার অফিসের আওতাভুক্ত নকলনবিশ কার্যালয় করার অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাবলিক টয়লেটটি ভেঙে ছোট কক্ষে গাদাগাদি করে ৫/৬ জনের জায়গায় ১৫ জনকে বসার জায়গা করে দেয় সাব-রেজিস্টার। একজন এক টেবিলে বসলে অন্য টেবিলে আরেকজন যেতে হলে প্রথমজন বের হয়ে জায়গা করে দিতে হয়৷
এছাড়াও উপর তলা থেকে স্যানেটারি পাইপ দিয়ে নেমে আসা ময়লার দুর্গন্ধে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এমন অবস্থায় কাজ করা নকলনবিশ কর্মচারীরা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছেন। এই জন্য নকল লেখা বন্ধ রেখেছে দুই সপ্তাহ ধরে। এতে দলিল লেখকসহ সেবা গ্রহিতারা ভোগান্তিতে পড়েছে। উপজেলা পরিষদ থেকে সেবা নিতে আসা সেবাগ্রহীতার প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে গিয়ে প্রতিনিয়ত বিপাকে পড়তে হচ্ছে। মলমূত্রত্যাগের জন্য ছুটাছুটি করতে হচ্ছে এদিক সেদিক। এতে মানুষের ভোগান্তির যেন শেষ নেই।
উপজেলা কমপ্লেক্সের সামনে চায়ের দোকানের ব্যবসায়ী আনিছুর রহমান ও উপজেলা সেবা নিতে আসা লাক মিয়া বলেন, উপজেলা কমপ্লেক্সে পাবলিক টয়লেট অতি জরুরি। প্রতিদিন শত শত মানুষ এখানে সেবা নিতে এসে টয়লেট না পেয়ে মলমূত্রত্যাগের জন্য তারা এদিক সেদিক ছুটাছুটি করে বেড়ায়। এটা লজ্জাজনক বিষয়।
নকলনবিশ মো.জাহাঙ্গীর আলম স্বপনসহ সকলেই বলেন,আগে আমরা যেখানে বসে নকল লিখতাম সেই কক্ষে সাব- রেজিস্ট্রার স্যার খাসকামরা করার জন্য সংস্কার কাজ করতেছেন,তাই পাবলিক টয়লেট ভেঙে আমাদেরকে এখানে বসার জায়গা করে দিয়েছেন কিন্তু এখানে ১০/১৫ বসে কাজ করা সম্ভব না এবং খুব দুর্গন্ধ আসে, তাই সকলে নকল লিখা বন্ধ রেখেছে।
দলিল লিখক সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি মো.জাকির হোসেন বলেন,নকল না লিখার কারনে আমরা খুব সমস্যায় আছি এবং অনেক গ্রহীতা তারা নকল না পাওয়ার কারনে জমি খারিজ করতে পারছেনা। এবিষয়টি দ্রুত সমাধান করা দরকার।
এবিষয়ে উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার মো: শরীফুল ইসলাম নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এটা আমাদের ইন্টারনাল বিষয়,আগের কক্ষে সংস্কার কাজ চলছে, ২০/২৫ দিন পর এসে খবর নিয়েন তিনি আরও বলেন আমাদের কাকে কোথায় বসতে দিব সেইটা আমাদের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ আছে।
কার অনুমতি নিয়ে পাবলিক টয়লেট ভেঙেছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন এটা আমরা পাবলিকে জিজ্ঞেস করে করবনা।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমাইয়া মমিন বলেন,আমরা রেজুলেশন করে দুট রুম বরাদ্দ দিয়েছি একটি রেজিস্টার অফিসকে অপরটি প্রাণী সম্পদ অফিসকে।কিন্তু সাব- রেজিস্টার অফিসের বরাদ্দকৃত রুমে না গিয়ে, কি কারনে পাবলিক টয়লেট ভেঙে নকলনবিশ অফিস করেছে জানতে আমি কারন দর্শানোর নোটিশ দিয়েছি।