মাগুরার শালিখা উপজেলার সদর আড়পাড়া ইউনিয়নের দরিশলই ও ফুলবাড়ি গ্রামের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৫ জন কৃষকের ৫৬ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার শালিখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এই চেক প্রদান করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: বনি আমিন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবুল হাসনাত, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা লাল্টু মিয়া প্রমূখ। এর আগে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাত ও উজানের পানিতে শালিখা উপজেলা সদর আড়পাড়া ইউনিয়নের ষোলগাড়ে ও কুমোরগাড়ে বিল তলিয়ে গেলে ওই এলাকার চাষীরা নিজস্ব উদ্যোগ ও অর্থায়নে তলিয়ে যাওয়া ফসল রক্ষার্থে শেচ পাম্পের মাধ্যমে পানি অপসারণ করে যা এখনো চলমান। কৃষকদের এমন কর্মকান্ডকে সাধুবাদ জানিয়ে তাদের কাজকে বেগবান করতে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে তাদেরকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।
এ ব্যাপারে কয়েকজন উপকারভোগীর সাথে কথা বললে তারা জানান, প্রথমে আমরা নিজস্ব ও অর্থায়নে তলিয়ে যাওয়া ফসল রক্ষার্থে শেচ পাম্পের মাধ্যমে পানিঅপসারণ করি পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ আমাদেরকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয় যার মাধ্যমে আমরা আমাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবুল হাসনাত বলেন, ফসল রক্ষার্থে শালিখা উপজেলার দরিশলই ও ফুলবাড়ি গ্রামের যেসব চাষিরা সেচ পাম্পের মাধ্যমে পানি অপসারণ করছে তাদেরকে জ্বালানি সহায়তা প্রদান করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে পাশাপাশি আমাদের দপ্তর থেকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬৫ জন সবজিচাষীদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে ও ২৫৬ জন আমন চাষীদের মাঝে জন প্রতি পাঁচ কেজি আমন ধানের বীজ বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও আপদকালীন বীজতলা তৈরিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদেরকে সহায়তা প্রদান করা হবে বলেও জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ বনি আমিন বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অর্থায়নে উপজেলার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৫ জন কৃষকদের মাঝে অর্ধলক্ষাধিক টাকার চেক বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি শালিখা উপজেলার যে সমস্ত এলাকা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমরা সব এলাকা ধারাবাহিকভাবে পরিদর্শন করব এবং যতদূর সম্ভব ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করব।