লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের দুনিয়ায় অনেক ভাঙাগড়ার মধ্যদিয়ে এগিয়ে হয়েছে টালিউড অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তীকে। ভেতরে ভেতরে ভেঙে পড়লেও তা কখনো প্রকাশ করেননি। শক্তি জড়ো করে হাসিমুখে উঠে দাঁড়িয়েছেন।
তবে পেশাগত জীবনের চেয়ে ব্যক্তিগত জীবনে নাকি সবচেয়ে হোঁচট খেয়েছেন তিনি। ঋতাভরী বলেন, ‘পেশাগত জীবনে যতটা না হোঁচট খেয়েছি তার চেয়েও বেশি কেঁদেছি ব্যক্তিগত জীবনে।’
ভারতীয় গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘কিশোরী বয়সে আমি অভিনয় শুরু করি। তখন আমি মধ্যবিত্ত সংসারের মেয়ে। মানসিকতা বা ধ্যানধারণাও সে রকমই ছিল। পৃথিবী কেমন, কীভাবে সেখান থেকে নিজেদের প্রয়োজন মেটাব— সে সম্পর্কে অন্য রকম ধারণা ছিল। অনেককে দেখেছি, অনায়াসে অনেক কিছু করতে পেরেছে। আমি সেটা পারিনি। কারণ, আমি সবসময় চিন্তা করেছি শিল্পীসত্তা ও মূল্যবোধ যেন বিক্রি না হয়ে যায়। এটার মধ্যে থেকেই তিনি নিজেকে প্রমাণ করেতে হয়েছে।’
একজন মেয়ের যা যা স্বপ্ন থাকে এই ঋতাভরী সেই সব পূরণ করতে পেরেছেন। বাড়ি, গাড়ি, অর্থ, যশ, নামী পরিচালকদের ছবিতে কাজ, সম্মান— সব পেয়েছেন। পরিণত ঋতাভরী কী চান?
এমন প্রশ্নে ঋতাভরীর সোজা উত্তর, ‘৩০ বছর পার হলেই যে কোনও মেয়ে নিজেকে একটা প্রশ্নটাই করে। সেটা হল- তিনি কী চান? নিজের চাওয়া অনুযায়ী জীবন বেছে নিতে হয়। আমার ক্ষেত্রেও তেমটাই ঘটেছে। এখন পরিবারকে ভালবাসার পাশাপাশি নিজেকে ভালবেসে বাঁচি।’
বর্তমানে পরিচালক প্রতিম ডি গুপ্তের একটি সিরিজে অভিনয় করছেন ঋতাভরী। সেখানে তার সহ-অভিনেত্রী সোহিনী সরকার। যার সঙ্গে তার প্রথম কাজ ধারাবাহিক ‘ওগো বধূ সুন্দরী’। সূত্র: আনন্দবাজার।