‘আপনাকে কে বসিয়েছে তার কলিজা খুলে ফেলব’— শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানকে বিএনপি নেতার হুমকি

প্রকাশিতঃ আগস্ট ১৩, ২০২৫ | ৭:৩৭ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেক্স

কুমিল্লার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আমিরুল কায়সার এবং কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. শামসুল আলমকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লা-১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির উপজেলা কমিটির সদস্য আবদুল গফুর ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে। নাঙ্গলকোট উপজেলার ভোলাইন বাজার উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের সভাপতি পদ নিয়ে বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। এ–সংক্রান্ত একটি অডিও রেকর্ড সম্প্রতি ফাঁস হয়েছে। সূত্র জানায়, চলতি বছরের ১৮ মে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদারের বড় ভাই ড. মীর আবু সালেহ শামসুদ্দীন (শিশির)–কে ভোলাইন বাজার উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের সভাপতি হিসেবে সুপারিশ করেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক। পরে শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান তা প্রতিষ্ঠানটির প্রধানের কাছে পাঠান। এর পরপরই নিজের ঘনিষ্ঠজনকে সভাপতির পদে বসানোর জন্য দাবি জানান সাবেক এমপি আবদুল গফুর ভূঁইয়া। এ দাবিতে মুঠোফোনে শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানকে কল দিয়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও নানা হুমকি দেন। পরের দিন স্বশরীরে বোর্ডে গিয়েও চেয়ারম্যানকে ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ রয়েছে। ফাঁস হওয়া অডিও রেকর্ডে শোনা যায়, উত্তেজিত কণ্ঠে গফুর ভূঁইয়া বোর্ড চেয়ারম্যানকে বলেন, ‘আপনার কত বড় কলিজা হয়েছে আমি দেখে নেব। আপনাকে কে বসিয়েছে, তার কলিজা খুলে ফেলব, আপনার কলিজাও খুলে ফেলব। বেয়াদবিরও একটা সীমা আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আপনি এটা সুন্দরভাবে না করলে আপনার ক্ষতি হবে। আমি আপনাকে দেখে নেব। আমি টোকাই না, আইন জানি। কুত্তার বাচ্চা ডিসি, শুয়োরের বাচ্চা।’ জানা গেছে, ঘটনার পর বোর্ড চেয়ারম্যানের বিশেষ অনুরোধে ড. মীর আবু সালেহ শামসুদ্দীন সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি নেন। কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়সার বলেন, ‘আমার সঙ্গে সাবেক এমপির কোনো কথা হয়নি। উনার সঙ্গে বোর্ড চেয়ারম্যানের কথা হয়েছে। হয়তো উনাকে গালিগালাজ করেছেন।’ এ বিষয়ে শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান শামসুল আলম বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’ বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বলেন, ‘এই লোক (গফুর ভূঁইয়া) প্রশাসনের লোকজনকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে হেনস্তা ও হুমকি দেন। তিনি এলাকায় আওয়ামী পুনর্বাসনেরও দায়িত্ব নিয়েছেন।’ অভিযোগের বিষয়ে আবদুল গফুর ভূঁইয়া বলেন, ‘এগুলো আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার। এ বিষয়ে আমি আর কিছু বলতে চাই না।’