চিকিৎসকদের অবহেলায় কাঙ্খিত সেবা বঞ্চিত আত্রাই জনপদের মানুষ

প্রকাশিতঃ সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৫ | ১১:২১ অপরাহ্ণ
নাসির উদ্দিন, উপজেলা সংবাদদাতা, আত্রাই, নওগাঁ

জনপদ নওগাঁর আত্রাইয়ে অবস্থিত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে নাম মাত্র । মেলেনা কাঙ্খিত স্বাস্থ্য সেবা।কর্মরত চিকিৎসক দের সেচ্ছাচারিতার কারনে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় এই গ্রামীন জনপদের সেবা নিতে আসা রোগী ও স্বজনদের। হাসপাতালে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীর ও স্বাস্থ্য সেবীকাদের বিরুদ্ধে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ । জানাগেছে কতিপয় ডাক্তাররা তাদের উপস্থিতি ( ফিঙ্গার) দিয়ে ডিউটি চলা কালীন সময়ে হাসপাতালের বাহিরে চেম্বারে রোগী দেখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনেকেই তাদের কর্মস্থল হাসপাতালে যথাসময়ে উপস্থিত থাকেন না এবং নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই হাসপাতাল ত্যাগেরও অভিযোগ রয়েছে বিস্তর । উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা রোকসানা হ্যাপি তিনি নিজেও কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই হাসপাতালের বাহিরে ব্যাক্তিগত ভাবে চেম্বারে রোগী দেখেন। হাসপাতালে জরুরী বিভাগে কোন রোগী আসলে সেবা দিতেও নারাজ এই স্বা.প.প কর্মকর্তা। এবিষয়ে কথা বললে তিনি সাফ জানিয়ে দেন তিনি বলেন এখানে আমার দায়িত্ব রোগী দেখা নয়। আমার প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করতে সময় চলে যায়। ডাঃ জাহিদুল ইসলাম মেডিকেল অফিসার তিনি প.প কর্মকর্তার যোগসাজশে কোন নিয়মের তোয়াক্কা না করে ইচ্ছে মত অফিসে আসে সপ্তাহে দু তিন দিন। মুঠোফোনে তাঁর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- আমার রাতে ডিউটি থাকে আর আল্ট্রাসনোগ্রাম করি আর বেশি কথা না বলে ফোন কেটে দেন। অপরদিকে হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগ কে রেখে কতিপয় ডাক্তার তাদের মনোনীত ডায়াগনস্টিক সেন্টার এ বিভিন্ন পরিক্ষা করতে পাঠান।তাদের মনোনীত ডায়াগনস্টিক থেকে রিপোর্ট না করালে তারা রিপোর্ট দেখতে চাননা বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। মহতাব আলী নামে এক ব্যক্তি জানান ডাক্তাররা ডায়াগনস্টিক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ায় তারা হাসপাতালের রুগীদের কে তাদের সেন্টার মুখী করতে এই প্রচেষ্টা। জরুরী বিভাগে চলে চরম সিন্ডিকেট। রোগী এলেই তাঁকে পর্যাপ্ত সেবা না দিয়ে পাঠানো হয় জেলা বা বিভাগীয় সদরে। সাহিদা নামের এক রুগী বলেন, কথায় বলে পুলিশের বৌ নাকি দারোগা হয় ঠিক তেমনি এই হাসপাতালের নার্সরা ডাক্তারের চেয়েও লর্ড। একদিকে তাদের বাজে আচরণ অপরদিকে কেনুলা, স্যালাইন সব তাদের রুম থেকে করে আসতে হয় নতুবা তাদের রক্তচক্ষু দেখতে হয়। কিছু বললে বাহিরে ক্লিনিকে যাওয়ার পরামর্শ দেন। মুনাক্কা নামের একজন বলেন, সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে বাম হাতে ও নাকে ক্ষত হয় আমার নাতনির আত্রাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক একটু দেখে কোন চিকিৎসা না দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে বলে পরে ভবানীগঞ্জ ডা: বারী\'র কাছে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসাতেই আমার নাতনি অনেকটা সুস্থ হয়ে যায়। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা: রোকসানা হ্যাপির সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান,এগুলো অভিযোগের বিষয়ে আমার কোনো কিছু বলার নাই। আমি কিছু বলতেও চাই না।