বৃদ্ধাশ্রমে ভক্তদের আয়োজনে নচিকেতার জন্মদিন

প্রকাশিতঃ সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৫ | ৭:০৬ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেক্স

উপমহাদেশের কিংবদন্তি শিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তীর জন্মদিন ছিল গত ১লা সেপ্টেম্বর। দিনটিকে ঘিরে এপার বাংলা ও ওপার বাংলার ভক্তরা নানা আয়োজন করেন। বাংলাদেশে নচিকেতার ভক্ত ও সহশিল্পী পিজিত মহাজন রাজধানীর আগারগাঁও প্রবীণ নিবাসে আয়োজন করেন এক ভিন্নধর্মী জন্মদিন উদযাপন। দিনব্যাপী এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন পিজিত মহাজন। সকাল থেকেই প্রবীণদের সঙ্গে সময় কাটান তিনি। তাদের সঙ্গে আড্ডা ও গান গেয়ে দিনটি প্রাণবন্ত করে তোলেন। প্রবীণদের জন্য দুপুরে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থাও ছিল। বিকেলে কেক কাটা অনুষ্ঠানে প্রবীণরা নচিকেতার জনপ্রিয় গান ‘বৃদ্ধাশ্রম’ শোনার অনুরোধ জানান। গানটি গাওয়ার সময় অনেক প্রবীণ আবেগে কেঁদে ফেলেন। পরে পিজিত নিজ হাতে সবাইকে কেক খাওয়ান। এ সময় বাবা-মায়েরা পিজিত মহাজন এবং নচিকেতার আসন্ন গান \"মধ্যবিত্ত\" শুনতে চান এবং বেশ প্রশংসা করেন। একই সঙ্গে তারা আহ্বান জানান, একদিন যেন নচিকেতাকে প্রবীণ নিবাসে নিয়ে আসা হয়। দিন শেষে সন্ধ্যায় বিদায় নেওয়ার সময় প্রবীণরা পিজিতকে জড়িয়ে ধরেন এবং অনেকে তাকে ছোট ছোট উপহারও দেন। দিনভর আয়োজনে প্রবীণ নিবাসে নচিকেতার জন্মদিন যেন এক আবেগঘন স্মৃতিতে পরিণত হয়। নচিকেতার জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে শুধুমাত্র আনন্দই নয়, প্রবীণদের মনে গভীর আবেগের দাগ কেটে গেছে, যা তাদের কাছে আজীবনের স্মৃতি হয়ে থাকবে। \"মধ্যবিত্ত\" গানটি পিজিত মহাজন অফিসিয়ালে আসবে সহসা। নচিকেতার জন্মদিনের এ আয়োজন নিয়ে জানতে চাইলে পিজিত বলেন, “দাদা আমার আইডল, উনার জীবন বোধ আমায় মুগ্ধ করে। যেহেতু একসাথে গান করার সৌভাগ্য হয়েছে, কাছ থেকে দেখেছি মানুষটাকে। বৃদ্ধাশ্রম নিয়ে উনার বরাবরই আপত্তি।” তিনি একটি ঘটনার উল্লেখ করে বলেন, “‘বৃদ্ধাশ্রম’ গানটি বেরনোর পর স্থানীয় এক নেতা নচিকেতাকে নিয়ে গেলেন এক বৃদ্ধাশ্রমেরই উদ্বোধন করাতে! সব দেখে বেরিয়ে এলেন নচিকেতা। রাগে ফুঁসছেন তিনি। তখন বলা হলো, আপনি আসবেন না? নচিকেতার উত্তর ছিল, যেদিন এই বৃদ্ধাশ্রমে তালা মারা হবে, সেদিন আসব।” পিজিত আরও বলেন, “তবে দুনিয়ার সকল বাবা-মায়ের প্রতি দাদার প্রচুর ভক্তি। তাই চিন্তা করলাম এবার দাদার জন্মদিনে সন্তানদের থেকে দূরে থাকা বাবা-মায়েদের সাথে দাদার জন্মদিন কাটাই খুশি আনন্দে। এক মুহূর্তের জন্য উনারাও আমায় ভুলিয়ে দিলেন আমি মা হারা। দাদাকে জানিয়েছি আমার এ আয়োজন। আশা করি দাদা খুব খুশি হয়েছেন। দাদা ত এমনি, ফাইভ স্টারের খাবারে দাদাকে কেউ খুশি করতে পারেনা, পথের ধারের খাবারেই দাদা স্বাদ খুঁজে পান।” তিনি আবেগভরে যোগ করেন, “সত্যি নচিকেতাকে ভাল বলা যায়, মন্দ বলা যায়, তবে উপেক্ষা করা যায় না। নচিকেতা তৈরি হয় না, জন্মাতে হয় আসলে।”