মালয়েশিয়ায় হালাল শোতে বাংলাদেশ, আসিয়ান বাজারে রপ্তানি বাড়ার সম্ভাবনা

প্রকাশিতঃ সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৫ | ১০:২৮ অপরাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেক্স

বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম হালাল প্রদর্শনী মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেস (এমআইএইচএস-২০২৫)-এর ২১তম আসরে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ। আগামী ১৭ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কুয়ালালামপুরের মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও প্রদর্শনী কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে চার দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী। আয়োজন করছে মালয়েশিয়ার বিনিয়োগ, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় এবং মালয়েশিয়া বহির্বাণিজ্য উন্নয়ন সংস্থা। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)-এর উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ হাইকমিশন, কুয়ালালামপুরের সমন্বয়ে দেশের পাঁচটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান এ মেলায় অংশ নিচ্ছে। তারা প্রদর্শন করবে জেলাটিন, খালি ক্যাপসুল শেল, খাদ্য ও পানীয়, প্রস্তুতকৃত খাবার, চামড়াজাত পণ্য, প্রসাধনী, গৃহস্থালি ও ব্যক্তিগত যত্ন সামগ্রী এবং তৈরি পোশাকসহ বিশ্বমানের বিভিন্ন পণ্য। এসব পণ্য বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে বিশেষভাবে উপস্থাপন করা হবে। এছাড়া বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া ব্যবসায়িক চেম্বারের নয় সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেবে বিভিন্ন ব্যবসায়িক সভায়। দুই দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে এ প্রতিনিধিরা মালয়েশিয়ান উদ্যোক্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। হাইকমিশনের আশা, এই অংশগ্রহণ বাংলাদেশের হালাল শিল্পকে আরও শক্তিশালী করবে এবং মালয়েশিয়াসহ আসিয়ান অঞ্চলে রফতানির নতুন সুযোগ তৈরি করবে। বর্তমানে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার। তবে এর মধ্যে বাংলাদেশের রফতানি মাত্র ৩২৯ মিলিয়ন ডলার, বাকি অংশ আমদানি। ২০২৪ সালে দুই দেশের বাণিজ্য বেড়ে দাঁড়ায় ২.৯২ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ বেশি। কিন্তু আমদানির বিপরীতে রফতানি এখনও তুলনামূলকভাবে অপ্রতুল। রফতানিকারকরা অভিযোগ করেছেন, কাস্টমস জটিলতা ও কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে আনুষ্ঠানিক রফতানি বাড়ছে না। অর্থনীতিবিদদের মতে, এ পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে শুল্ক বিভাগের তদারকি জোরদার করা এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করা জরুরি। কম দামে পণ্য রফতানি দেশের জন্য ক্ষতিকর। পাশাপাশি নকল বা নিম্নমানের পণ্য রফতানি বন্ধ করতে হবে। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বাংলাদেশের জন্য লাভজনক হবে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। বিশ্লেষকরা মনে করেন, হালাল শিল্পে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ শুধু বাণিজ্য ঘাটতি কমাবে না, বরং বহুমুখী পণ্য উৎপাদন ও আসিয়ান বাজারে দীর্ঘমেয়াদি অবস্থান তৈরির সুযোগ সৃষ্টি করবে।