ইসরাইলকে রুখতে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা চায় জর্ডান

প্রকাশিতঃ সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৫ | ১০:৩২ অপরাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেক্স

জর্ডানের কিং আবদুল্লাহ (দ্বিতীয়) কাতারে ইসরাইলি হামলার ঘটনাকে ‘প্রমাণ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, ইসরাইলের হুমকি ‘সীমাহীন’। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিক্রিয়া পরিষ্কার, সিদ্ধান্তমূলক এবং সর্বোপরি, নিরাশাজনক হতে হবে।’ কিং আবদুল্লাহ উল্লেখ করেছেন, ইসরাইল দখলকৃত পশ্চিম তীরের বিস্তৃত নীতিগুলো অব্যাহত রেখেছে, যা দুই-রাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনাকে ক্ষুণ্ণ করছে। তিনি আরও বলেছেন, ‘সামিট থেকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত, যাতে ইসরাইলের কর্মকাণ্ড মোকাবিলা করা যায়, গাজায় যুদ্ধ শেষ হয় এবং ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত হওয়া রোধ করা যায়।’ একই অনুষ্ঠানে, মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল-ফাত্তাহ আল-সিসি বলেছেন, ‘এই গুরুত্বপূর্ণ সামিট অত্যন্ত সংকটময় সময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে, যখন পুরো অঞ্চলের জন্য গুরুতর চ্যালেঞ্জ বিরাজ করছে।’ তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘ইসরাইলের হামলা স্পষ্টভাবে দেখাচ্ছে যে তাদের কার্যক্রম কূটনৈতিক ও সামরিক যুক্তির সীমা অতিক্রম করেছে। তারা সকল রেডলাইন পার করেছে। আমরা কাতারে ইসরাইলের শত্রুতামূলক কর্মকাণ্ডের কঠোর নিন্দা জানাই।’ এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) জরুরি আলোচ্যসূচি আহ্বান করেছে। সংস্থাটি ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ‘খুবই গুরুতর’ বলে উল্লেখ করেছে এবং তা রোধে প্রয়োজনীয় আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলি হামলার এই ঘটনা কাতার ও অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও উত্তেজনাপূর্ণ করেছে। জর্ডান ও মিশরের কঠোর অবস্থান ইঙ্গিত দিচ্ছে, যে আন্তর্জাতিক কূটনীতি ও শান্তি প্রক্রিয়ায় নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি হতে পারে। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি রাজধানী দোহায় অনুষ্ঠিত আরব ও ইসলামী দেশগুলোর জরুরি শীর্ষ সম্মেলন উদ্বোধন করেছেন। তিনি বলেন, এই জরুরি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে কাতারে সংঘটিত ‘বৃহৎ আগ্রাসনের’ পরিপ্রেক্ষিতে। আমির আরও উল্লেখ করেছেন, সাধারণ নাগরিক ও আবাসিকরা এই হামলার সময় বিস্মিত হয়েছেন। কারণ এটি কেবল একটি দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি নয়, আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন, বরং এটি ছিল ‘কল্পনাতীত ভয়ঙ্কর ও কাপুরুষের আগ্রাসন।’