জিম্মি মুক্তি নিয়ে রোববার মিশরে বৈঠক, গাজায় ফিরছে ফিলিস্তিনিরা?

প্রকাশিতঃ অক্টোবর ৪, ২০২৫ | ১০:১৩ অপরাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেক্স

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত যুদ্ধবিরতির উদ্যোগে সম্মত হওয়ার পর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) গাজা সিটি দখলের অভিযান স্থগিত করেছে। তবে সেনারা এখনো প্রতিরক্ষামূলক অবস্থানে আছে এবং ফিলিস্তিনিদের সতর্ক করে বলেছে, গাজা সিটি এখনো অত্যন্ত বিপজ্জনক যুদ্ধক্ষেত্র, তাই সেখানে ফেরত যাওয়া যাবে না। শনিবার (৪ অক্টোবর) রাজনৈতিক পর্যায় থেকে আসা নির্দেশে বলা হয়, আইডিএফ কেবল ন্যূনতম সামরিক তৎপরতা চালাবে। যেমন সেনাদের ওপর হুমকি এলে পাল্টা হামলা চালাবে। গাজা সিটি ঘিরে রাখা হলেও সেনারা সামনে এগোবে না, আবার পিছুও হটবে না। এ জন্য অতিরিক্ত ড্রোন মোতায়েন করা হয়েছে। এই নির্দেশ আসে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের কর্মকর্তাদের রাতভর বৈঠকের পর। আলোচনার অংশ হিসেবে মিশরের কায়রো বা লোহিত সাগর উপকূলীয় শহর শার্ম আল শেখে রোববার থেকেই যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি নিয়ে বৈঠক শুরু হতে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। মার্কিন মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফ এ লক্ষ্যে অঞ্চলে যাচ্ছেন। ইসরায়েরের প্রেসিডেন্ট বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যদিও হামাসের প্রতিক্রিয়াকে ‘মূলত নেতিবাচক’ বলেছেন, তবু ট্রাম্পের উদ্যোগে সাড়া দেওয়া ছাড়া তার সামনে বিকল্প ছিল না বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইসরায়েল। এদিকে, হামাসের সিভিল ডিফেন্স সংস্থা দাবি করেছে, গাজা সিটি ও আশপাশে ইসরায়েলি বিমান ও কামানের হামলায় অন্তত ২০টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে এবং তুফাহ এলাকায় চারজন নিহত হয়েছেন। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে দুজন শিশুও নিহত হয়েছে। তবে এসব সংখ্যার স্বাধীন যাচাই সম্ভব হয়নি, কিংবা হামলাগুলো ট্রাম্পের ঘোষণার আগে নাকি পরে হয়েছে তা-ও স্পষ্ট নয়। শনিবার সকালে আইডিএফ আবারও সতর্ক করেছে—গাজার বাসিন্দারা যেন কোনো অংশেই সেনাদের কাছাকাছি না যায় কিংবা গাজা সিটিতে ফিরে না আসে। সূত্র: দ্য টাইমস অব ইসরায়েল