বেনাপোল কাস্টমস হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা শামিমা আক্তারকে ঘুসের ২ লাখ ৭৬ হাজার টাকাসহ আটকের পর অনৈতিক সুবিধা নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দূনীতি দমন কমিশন দুদক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে দুদকের গাড়ি প্রায় আধা ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে স্থানীয় জনতা।
সোমবার রাত ৯ টার দিকে বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে বিকাল ৩ টার দিকে কাস্টমস কর্মকর্তা ও তার সহযোগী এনজিও সদস্যকে ঘুসের টাকা সহ আটক করে দুদক।
এদিকে আটকের পর টানা ৫ ঘন্টা কাস্টমস কমিশনারের কক্ষে গোপন বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তথ্য না দিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে দুদক সদস্যরা। এসময় সাংবাদিকদের জেরার মুখে দুদক কর্মকর্তারা জানান, কাস্টমস কর্মকর্তার ঘুষ বানিজ্যের খবরে দুদকের একটি দল কাস্টমসে অভিযান চালিয়ে কাস্টমসের রাজস্ব ও তার সহযোগীকে ঘুষের টাকা সহ ধরা হয়। রাজস্ব কর্মকর্তা স্বিকার করেছেন এনজিও সদস্যের কাছে পাওয়া ঘুষের টাকা তিনি রেখেছেন। তবে এনজিও সদস্যকে আটক করা হয়েছে৷ অপরাধ স্বীকার করলে কাছে না পাওয়ায় রাজস্ব কর্মকর্তা শামিমা আক্তারকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে অপরাধ স্বিকার করার পরও রাজস্ব কর্মকর্তাকে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় ক্ষোভে ফুসে ওঠেন সাধারন ব্যবসায়ীরা। এক পর্যায়ে দুদক কর্মকর্তারা চলে যাবার সময় তাদের গাড়ি অবরুদ্ধ করে রাখে জনতা। পরে পুলিশের মধ্যস্ততায় আধা ঘন্টা পর জনতা গাড়ি ছেড়ে দেয়।।
কাস্টমস কর্মকর্তা অপরাধ স্বিকার করার পরও তাকে ছেড়ে দেওয়া দুদকের প্রতি মানুষের সম্মান ও বিশ্বাস নষ্ট হবে।