রাজশাহীতে চর দখল নিয়ে সংঘর্ষ গুলিতে ২ জন নিহত

প্রকাশিতঃ অক্টোবর ২৮, ২০২৫ | ৮:৫৮ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেক্স

রাজশাহী জেলার বাঘা, নাটোরের লালপুর ও কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে পদ্মার মহনায় চর দখল কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ছোড়া গুলিতে ২জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরো ২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের প্রথমে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। পরে তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি পাঠানো হয়। সোমবার দুপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আহত দুইজন সার্জারি ওয়ার্ডে গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের মুখপাত্র ও মেডিকেল অফিসার সংকর কে বিশ্বাস। নিহতরা হলেন, আমান মন্ডল (৩৬) ও নাজমুল মন্ডল (২৬)। আহতরা হলেন মুনতাজ মন্ডল (৩২) ও রাবিক হোসেন (১৮)। এরা সবাই রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চরাঞ্চলের নীচ খানপুর গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সোমবার দুপুরে নিজের দখলে থাকা জমিতে খড় কাটছিল বাঘা উপজেলার খানপুর গ্রামের বেলাল হোসেন, মুন্তাজ ও লাভলুর লোকজন। এ সময় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার কথিত ‘কাকন বাহিনীর লোকজন প্রভাব বিস্তার করে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়তে থাকে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের এক পর্যায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন-আমান মন্ডল, মুনতাজ মন্ডল, নাজমুল মন্ডল ও রাবিক হোসেন। খবর পেয়ে বাঘার লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছলে প্রতিপক্ষরা সরে যায়। পরে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা আমান মন্ডল ও নাজমুল মন্ডলকে মৃত ঘোষণা করেন। বাঘা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিসক ডা. নিহার চন্দ্র মন্ডল জানান, মুনতাজের শরীরে বিভিন স্থানে অন্তত শতাধিক, রাকিবের শরীরে প্রায় ৮০, নাজমুলের শরীরে প্রায় ৩৫ এবং আমানের মাথায়সহ শরীরের ৫ জায়গায় গুলির চিহৃ পাওয়া গেছে। হাসপালে পৌছার আগেই আমান মন্ডল মারা যান। বাকি তিনজনকে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। পথে মারা যান নাজমুলও। ক্ষত দেখে ধারণা করা হচ্ছে পিস্তল ও রাবার বুলেটের গুলি এগুলো। খানপুর গ্রামের বেলাল হোসেন জানান, চর এলাকায় তাদের দখলে থাকা জমিতে লোকজন নিয়ে খড় কাটছিলেন। এসময় কাকন বাহিনীর লোকজন প্রভাব বিস্তার করে খড় কাটা জমির দখল নিতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়তে থাকে। এতে চারজন গুলিবিদ্ধ হয়। এর মধ্যে ২ জন মারা গেছে। তিনি জানান, এর আগেও কাকন বাহিনীর লোকজন বালু ঘাটের দখল নিয়ে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে বাঘা-লালপুর সীমান্ত এলাকার এপারে এসে গুলি ছুড়ে আধিপত্য বিস্তার করে। গত ৬ জুলাই গভীর রাতে তাদের ছুঁড়া গুলিতে স্পীড বোর্ডের একজন চালক আহত হয়েছে। বাঘা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুপ্রভাত মন্ডল জানান, নিহত আমানের লাঁশ হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়। পরে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আর নাজমুলের লাঁশ হাসপাতালের লাঁশ ঘরে রাখা রয়েছে। মঙ্গলবার তাদের দুইজনের ময়নাতদন্ত হবে।