দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন নওগাঁর মহাদেবপুর থানা বিএনপির সদস্য পারভেজ আরেফিন সিদ্দিকী জনির সমর্থকেরা। প্রার্থী বদলের দাবিতে বিক্ষোভকারীদের প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ মানববন্ধনের কারণে যান চলাচল সাময়িকভাবে অচল হয়ে পড়ে। নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছী) আসনে প্রার্থী পরিবর্তন না করলে এই আসন বিএনপি হারাবে বলে মনে করেন তাঁরা।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কদিন আগে ২৩৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে বিএনপি। নওগাঁ-৩ আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে বিএনপি ঘোষণা করেছে ফজলে হুদা বাবুলের নাম। এতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন আসনটি থেকে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচনে জয়ী প্রয়াত আখতার হামিদ সিদ্দিকীর ছেলে পারভেজ আরেফিন সিদ্দিকী জনির সমর্থকেরা।
ফজলে হুদা বাবুলের পরিবর্তে এই আসনে পারভেজ আরেফিন সিদ্দিকী জনিকে প্রার্থী ঘোষণার দাবিতে আজ মানববন্ধনে কয়েক হাজার নারী-পুরুষ অংশ নেন। মহাদেবপুর উপজেলা সদরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার উত্তরে লিচুবাগান থেকে শিবগঞ্জ মোড় পর্যন্ত এই কর্মসূচিতে বিএনপি, তাদের অঙ্গসংগঠন যুবদল, সহযোগী সংগঠন ছাত্রদলসহ তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
জনির সমর্থকেরা জানান, যাঁকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে, এলাকার মানুষের সাথে তাঁর সম্পর্ক নেই। এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে না এলে নির্বাচনে এই আসনে বিএনপি হেরে যেতে পারে বলেও মতামত জানান তাঁরা।
বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে উপজেলা সদরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। বকের মোড়ে পারভেজ আরেফিন সিদ্দিকী জনির বাসভবনের সামনে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হন। কর্মীদের ডাকে সাড়া দিয়ে পারভেজ আরেফিন সিদ্দিকী জনি বলেন, এই মনোনয়ন এখনও চূড়ান্ত নয়। রাজনীতি থেকে তাঁর বাবা আখতার হামিদ সিদ্দিকীর পরিবারকে মাইনাস করার ষড়যন্ত্র চলছিল, যা এখনো চলমান বলে মনে করেন তিনি। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সেই ষড়যন্ত্র মোকাবিলার ঘোষণাও দেন তিনি।
এই আসনে ১৯৯১ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত টানা চারবার ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হন আখতার হামিদ সিদ্দিকী নান্নু। তিনি ২০০১ সালে জাতীয় সংসদে ডেপুটি স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর মৃত্যুর পর ২০১৮ সালের নির্বাচনে তাঁর ছেলে পারভেজ আরেফিন সিদ্দিকী জনি বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন, তবে সে সময়ে ১৪ দলীয় জোটের (জাতীয় পার্টি) প্রার্থী ছলিম উদ্দীন তরফদারের কাছে প্রায় ৫৫ হাজার ভোটে হেরে যান।