গাংনীতে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে শিক্ষার্থীর ভাইরাল ভিডিও

প্রকাশিতঃ নভেম্বর ১৬, ২০২৫ | ৭:৪৪ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেক্স

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গা এইচবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজু আহমেদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, ভিডিও কলে এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে অনুপযুক্ত ঘনিষ্ঠ আলাপচারিতার দৃশ্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর স্থানীয় জনগণ, অভিভাবক এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে যে দায়িত্বশীল পদে থাকা একজন প্রধান শিক্ষকের এমন আচরণ পুরো এলাকার শিক্ষার পরিবেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এলাকাবাসীর প্রতিক্রিয়া ও উদ্বেগ স্থানীয়দের মতে, একজন শিক্ষক শিক্ষার্থীদের জন্য নৈতিকতার প্রতীক হওয়া উচিত। তারা বলেন, “একজন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠা শিক্ষার পরিবেশের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক।” একজন অভিভাবক জানান, “আমরা সন্তানদের নিরাপদ পরিবেশে পড়াশোনা করানোর জন্য বিদ্যালয়ে পাঠাই। যদি শিক্ষকই দায়িত্বশীল আচরণ না করেন, তবে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত হবে?” আরেকজন অভিভাবক বলেন, “এ ধরনের অভিযোগের ফলে পুরো এলাকার শিক্ষাজগৎ অস্থির হয়ে পড়েছে। সঠিক তদন্ত ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত নয়, তবে অভিযোগ সত্য হলে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।” বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের অবস্থান, হাড়াভাঙ্গা এইচবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মোকলেচুর রহমান জানান— “বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ তুলেছেন যে প্রধান শিক্ষক রাজু আহমেদ দায়িত্বে থাকলে তারা বিদ্যালয়ে না আসার হুমকি দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে আগামীকাল (১৬ নভেম্বর) জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে আইনগত ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” প্রশাসনের বক্তব্য গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন— “এ ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পাওয়া গেলে নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন— “বিষয়টি সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো অবগত হইনি। কেউ অভিযোগ দিলে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” প্রধান শিক্ষকের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি অভিযোগ বিষয়ে জানতে প্রধান শিক্ষক রাজু আহমেদের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কোনো কল রিসিভ করেননি। তার পক্ষ থেকেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। অভিভাবকদের দাবি: শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি অভিভাবকদের মতে, শিক্ষার্থীদের মানসিক ও নৈতিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। তারা বলেন, “শিক্ষার পরিবেশকে পরিষ্কার ও নিরাপদ রাখতে প্রশাসনের দ্রুত উদ্যোগ প্রয়োজন।” এ ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অভিভাবকরা।