বিয়ে না করেই একসঙ্গে বসবাস , বিপাকে অভিনেত্রী স্বাগতা
অনলাইন নিউজ ডেক্স
বিয়ে না করেই একই ছাদের নিচে বসবাসের খবর প্রকাশ করে বিপাকে পড়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী ও সংগীতশিল্পী জিনাত সানু স্বাগতা। বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে তাকে একের পর এক আইনি নোটিশ পাঠানো হচ্ছে। এবার লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছে সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রতিষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’।
ঢাকা বারের আইনজীবী ব্যারিস্টার ওমর ফারুকের মাধ্যমে সংগঠনটির আহ্বায়ক মুহম্মদ জিয়াউল হক নোটিশটি পাঠান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মুহম্মদ ইয়াকুব মজুমদারের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে নোটিশের কথা জানানো হয়।
নোটিশে বলা হয়, লিভ টুগেদার বিষয়ক বক্তব্য প্রত্যাহার পূর্বক তিন কার্যদিবসের মধ্যে অভিনেত্রী স্বাগতাকে ক্ষমা চেয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি প্রকাশ করতে হবে। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে
এর আগে ২৮ ডিসেম্বর আরিফুল খবির নামে একজন ব্যক্তির পক্ষে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মুহম্মদ মেছবাহ উদ্দিন চৌধুরী অভিনেত্রী স্বাগতাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছিলেন।
বিয়ের আগে এক সাক্ষাৎকারে এই অভিনেত্রী বলেছিলেন, আমি আর হাসান এক বছর লিভটুগেদার করেছি। তারপর দুজন দুজনকে পার্টনার হিসেবে পছন্দ করেছি। আমরা যখন লিভ টুগেদার করেছি, আমাদের দুজনের বাবা-মায়ের পক্ষ থেকে কোনো সমস্যা ছিল না। সমাজও আমাদের বিষয়টা মেনে নিয়েছে। প্রথমে একটু সময় নিয়েছে কিন্তু পরে বিষয়টা স্বাভাবিক হয়ে গেছে। আমি মনে করি, আমাদের সমাজও পরিবর্তন হচ্ছে। ডিভোর্স নরমালাইজ হচ্ছে, লিভ টুগেদারও নরমালাইজ হবে।
স্বাগতার এমন মন্তব্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে অভিনেত্রীকে আইনি নোটিশ পাঠানো হলো।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের শুরুতে দ্বিতীয়বারের মতো বিয়ের পিঁড়িতে বসেন জিনাত সানু স্বাগতা। দীর্ঘদিনের প্রেমিক ও বন্ধু হাসান আজাদের গলায় মালা দেন তিনি। বিয়ের আগে তারা লিভটুগেদার করতেন।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।