অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না


গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্র এখনো থেমে নেই জানিয়ে এর বিরুদ্ধে জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকলে আর কেউ দেশের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করতে পারবে না, ইনশাআল্লাহ। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলের র‍্যালিপূর্ব লাখো জনতার এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তারেক রহমান। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, স্বাধীনতাপ্রিয় জনগণকে আমি একটি বিষয় আবারও স্মরণ করিয়ে সতর্ক থাকতে অনুরোধ জানাতে চাই, আমি নিজেও সতর্ক থাকতে চাই। সেটি হলো, গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্র এখনো কিন্তু থেমে নেই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করে দিতে পলাতক স্বৈরাচারের দোসররা দেশে-বিদেশে, শাসনে-প্রশাসনে এখনো সক্রিয়। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। নিজেদের সতর্ক করতে চাইলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, এটি আজ জনগণের চাওয়া। তিনি আরও বলেন, রাজধানী ঢাকার রাজপথে আজ (গতকাল) লাখো জনতার মিছিল। দেশের পক্ষের শক্তিকে ৭ নভেম্বরের অন্তর্নিহিত শিক্ষায় দীক্ষিত করার মিছিল এটি। লাখো জনতার আজকের এই মিছিল ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে আহত এবং অসংখ্য ছাত্র-জনতা ও হাজারো শহীদের স্বপ্নে একটি বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক মানবিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ী মিছিল। এটি রাজধানীর রাজপথে কারও বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় তোলার মিছিল নয়; বরং দেশের স্বার্থ রক্ষার মিছিল। নিজের ভোট প্রয়োগের অধিকার আদায়ের মিছিল, নিজের অধিকার রক্ষা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার মিছিল। মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার পক্ষে অবস্থান তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, স্বৈরাচার বা ফ্যাসিবাদমুক্ত পরিবেশেও স্বল্প আয়ের মানুষদের বাজার সিন্ডিকেটের অভিশাপ থেকে মুক্ত করা অসম্ভব হয়ে পড়বে, যদি না আমরা মানুষের সরাসরি ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে পারি। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে আর কখনো যেন ফ্যাসিবাদ স্বৈরাচার ফিরে আসতে না পারে, সেজন্য প্রতিটি নাগরিকের সরাসরি ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের সক্ষমতা অর্জন জরুরি। স্থানীয় সরকার থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত নির্বাচিত হতে ইচ্ছুক জনপ্রতিনিধিদের জনগণের ভোটের প্রতি মুখাপেক্ষী না করা পর্যন্ত জনগণ গণতন্ত্রের সুফল পাবে না। ছাত্র-জনতার বিপ্লবে ফ্যাসিবাদের পতন হওয়ায় জনগণকে অভিনন্দনও জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ছিল শত্রু-মিত্র চেনার দিন। আর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশের শত্রু চিহ্নিত করার দিন। বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকলে আর কেউ দেশের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করতে পারবে না, ইনশাআল্লাহ। বিকেল পৌনে ৪টায় নয়াপল্টন থেকে র্যালি শুরু হয়। এরপর র্যালিটি কাকরাইল মোড়-কাকরাইল মসজিদ-মৎস্যভবন-ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট-শাহবাগ-হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল-বাংলামোটর-কারওয়ান বাজার-ফার্মগেট হয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে গিয়ে সন্ধ্যা ৬টায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমাপনী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

সর্বশেষ :