অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তগুলো যৌক্তিক ও সময়োপযোগী: মির্জা ফখরুল


অন্তর্বর্তীকালীন সরকার স্বল্প সময়ে যে সিদ্ধান্তগুলো নিচ্ছে, তা যৌক্তিক ও সময়োপযোগী বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ভালোই করছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তারা সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করেছে। অনেক সমস্যার সমাধানও করেছে। শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় সস্ত্রীক সিঙ্গাপুরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর জনগণের সমর্থন ও সহযোগিতা দরকার। বিশেষ করে অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে গার্মেন্টগুলোকে সচল রাখতে হবে। আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রেও সব রাজনৈতিক দল, সব সংগঠন, ব্যক্তি, দেশপ্রেমিক মানুষ সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। এখন বড় রকমের ক্রান্তিকাল যাচ্ছে। একসঙ্গে কাজ করতে পারলে বিপ্লবের যে লক্ষ্য তা ধরে রাখতে পারব। রাষ্ট্র মেরামতে সংস্কার ইস্যুতে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংস্কার তো করতেই হবে। আমরা কীভাবে সংস্কার চাই, সে কথা তো আমরা আগেই বলেছি। যেমন আমরা কেয়ারটেকার সরকারকে একটা স্থায়ী ব্যবস্থা করার কথা ৩১ দফায় আগেই বলেছি। সংবিধানে আমরা দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট যুক্ত করার কথা বলেছি। এই বিষয়গুলো আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করতে হবে। সুতরাং নির্বাচন কমিশনসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে সংস্কারের পক্ষে বিএনপি। ৫ আগস্টের পর থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আসলে অপপ্রচার হচ্ছে বেশি। সাধারণত এ দেশের মিডিয়া খুব ভালো রোল প্লে করে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক কিছু মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হয় উদ্দেশ্যমূলকভাবে। আমি মনে করি বিপ্লবের পরে একটু সমস্যা থাকে, এটা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে। এ সময় অন্য নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ফরহাদ হোসেন আজাদ। গত ১ সেপ্টেম্বর রাতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সস্ত্রীক সিঙ্গাপুর যান মির্জা ফখরুল। ২০১৫ সালে বিএনপি মহাসচিবের ঘাড়ের ইন্টারন্যাল ক্যারোটিড আর্টারিতে ব্লক ধরা পড়ে। তখন তিনি কারাগারে বন্দি ছিলেন। মুক্তির পর সিঙ্গাপুরে গিয়ে চিকিৎসা করান তিনি। এরপর থেকে প্রতি বছরই ফলোআপ চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে যেতে হয়।